আজ হুমায়ূন আহমেদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ১৯, ২০১৬ সময়ঃ ১:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:০১ অপরাহ্ণ

image_565_79759

জননন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের আজ ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।  ২০১২ সালের আজকের দিনে (১৯ জুলাই) হুমায়ূন আহমেদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অন্তরালে। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্ম নেয়া নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ মাত্র ৬৪ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চির বিদায় জানান পৃথিবীকে।আজ তার ৪র্থ প্রয়াণ দিবস।
অসামান্য সাহিত্যকীর্তি, আশ্চার্যসুন্দর রচনাবলি আর জীবনকে আনন্দময় করে দেখার প্রবণতায় হুমায়ূন আহমেদ চিরায়ত হয়ে আছেন বাঙালি পাঠকের হৃদয়জুড়ে।

তিনি একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত।

সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। তাঁর সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও তাঁর সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত। বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জনপ্রিয়তাও শুরু করেন তিনি। তাঁর রচিত প্রথম সায়েন্স ফিকশন ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’।

তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G