WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

এবার কুবিতেও মৃনাল হক নির্মিত ভাস্কর্য নিয়ে বির্তক ! এবার কুবিতেও মৃনাল হক নির্মিত ভাস্কর্য নিয়ে বির্তক !

এবার কুবিতেও মৃনাল হক নির্মিত ভাস্কর্য নিয়ে বির্তক !

প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২১, ২০১৭ সময়ঃ ১০:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

তানভীর সবিক, কুবি প্রতিনিধি :

মানসম্পন্ন ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পী মৃনাল হক নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে নেবার দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নানা সমালোচনার পরও অপরিকল্পিতভাবে স্বল্প জায়গায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বঙ্গবন্ধুর সাথে এ ভাস্কর্য সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে।

নির্মিত ভাস্কর্যটিতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর হাতের চেয়ে পায়ের অংশ খাট করা হয়েছে। অনুমোদিত নকশায় ভাস্কর্যটির মাথার চুল ও গায়ের কোট কালো রঙের হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে সাদা রঙের। বঙ্গবন্ধুর চশমাটিও অনুপস্থিত ভাস্কর্যটিতে। ভাস্কর্যটিতে পড়ানো হয়েছে খাটো পাঞ্জাবী। কংক্রিটের যে পাটাতনের উপর এটি বসানো হয়েছে সেটিরও অনুমোদিত নকশার সাথে মিল নেই। সর্বোপরি মূল বেদি থেকে বঙ্গবন্ধুর হাতের পায়রা পর্যন্ত ১৫ ফুট উঁচু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি।

সরে জমিনে জানা যায়, প্রায় বিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়। গ্রীষ্ম ও ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় স্বল্প জায়গায় ভাস্কর মৃণাল হককে দিয়ে জাতির জনকের ভাস্কর্যটি স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১০ মে প্রশাসনিক ভবনের নীচে রাতের অন্ধকারে মাত্র কয়েক ফুট জায়গায় ভাস্কর্যটির বেদি নির্মাণ শুরু করা হয়। বিষয়টি নজরে আসলে স্বল্প জায়গায় ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করে বৃহৎ পরিসরে নির্মাণের দাবিতে ২৩ মে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পরিকল্পিতভাবে বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য উপাচার্যকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানায় শিক্ষক সমিতি। এরপরও বিষয়টি আমলে না নিয়ে স্বল্প পরিসরে প্রশাসনিক ভবনের নীচে ভাস্কর্য নির্মাণ করে প্রশাসন। এ কাজের তত্ত্বাবধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা।

ভাস্কর্যটি এমন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে যে সহজে দৃষ্টিগোচর হয়না। সে জন্য আমতলা নামে পরিচিত স্থানটি থেকে বড় আম গাছটি ও এর পাশে অবস্থিত ছোট টিলার অংশবিশেষ কেটে ফেলেছে প্রশাসন। এ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির জনককে বিকৃতভাবে উপস্থাপন মেনে নিবে না। আমরা প্রশাসনকে আগামী সপ্তাহে এ বিকৃত ভাস্কর্য সরিয়ে প্রকৃত ভাস্কর্য বসাতে বলবো। তা না হলে শাখা ছাত্রলীগ কঠোর আন্দোলনে যাবে।’

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো: আইনুল হক বলেন,‘একজন বিতর্কিত শিল্পী দিয়ে এ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসন তড়িঘড়ি করে এ বিকৃত ভাস্কর্য নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল হাসান বলেন, ‘ভাস্কর্যটি অনুমোদিত নকশার সাথে মিলছে না বলেই আমরা শিল্পীকে এ ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিয়ে প্রকৃত ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য বলেছি।’

প্রতিক্ষণ/ এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G