দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে দেশ

প্রকাশঃ আগস্ট ২৮, ২০১৬ সময়ঃ ১২:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫০ অপরাহ্ণ

hasiপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই তার সরকারের লক্ষ্য।

রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনজি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কোনো ব্যবসায়ী ঠিক মতো ব্যবসা করতে পারেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় আসার পর সার্বিক পরিকল্পনায় ব্যবসাখাতকে এগিয়ে নিতে থাকি।

তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে কেবল স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিজেদের জন্য কাজ করেছে। কিন্তু আমরা দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে। কিন্তু ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। তারপর ২১ বছর বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট নির্মাণ শুরু করি। সবখাতের মতো ব্যবসাখাতের উন্নয়নেও কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আবারও দেশ পিছিয়ে যায়। ৭ বছর পর আমরা আবারও ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী মন্দা ছিলো। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভয়ভীতি কাজ করতো। সব দূর করে আমরা মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছি।

বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারীদের। একইসঙ্গে স্মরণ করেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মরফুহা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
20G