মশা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৮, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

লাইফষ্টাইল ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

indexমশার কামড়ের যন্ত্রনায় পড়েন নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। মশা সম্পর্কিত নানা তথ্যই আমাদের অজানা। আজ থাকেছে মশা সম্পর্কে জানা-অজানা বেশ কিছু তথ্য যা ইতিপূর্বেই অনেকে জানতেন, আবার অনেকের কাছেই হয়তবা অজানা।

মশা সম্পর্কিত ১০টি মজার তথ্য:

১.মশার প্রায় ৩,৫০০ প্রজাতি আছে। এর মধ্যে অল্প কিছু প্রজাতিই কেবল মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীকে কামড়ায়। বাকিরা নির্ভর করে ফুলের মধুর উপর! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও তা সত্যি! মশাও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে!

২.মশার গান শুনেন নি এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। মশা কানের কাছে আসলে আমরা যে শব্দ শুনি তা মূলত মশার ডানা ঝাপটানোর শব্দ। একটি মশা সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে। আর অতি অল্প সময়ে এতবার ডানা ঝাপটানোর দরুনই আমরা গুনগুন শব্দ শুনতে পাই।

৩.কোন মশা যদি আপনাকে কামড়িয়ে থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারে যে সেটা স্ত্রী মশা! কেবলমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষকে কামড়ায়। মানুষের রক্ত ভালো প্রোটিনের উৎস, আর স্ত্রী মশার সেটা দরকার পরে তার ডিমের জন্যে। আর পুরুষ মশারা আপনার চারপাশে থেকে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত রাখবে যাতে স্ত্রী মশাটি নির্বিঘ্নে রক্ত শুষে নিতে পারে।

৪.একটি মশা ঘণ্টায় প্রায় ১-১.৫ মাইল বেগে উড়ে যেতে সক্ষম ! শুনে চমকাবার কিছু নেই, অন্যান্য কীটপতঙ্গের গতির চেয়ে এই গতি আহামরি তেমন কিছুনা, তুলনামূলক অনেক কমই বলা যেতে পারে।

৫.আপনার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী কোনটি? উত্তর যদি হয়ে থাকে মশা ছাড়া অন্য কিছু তাহলে নিঃসন্দেহে ধরে নিতে পারেন যে আপনার ধারণা ভুল। পৃথিবীর সবচাইতে মারাত্মক প্রাণী মশা। প্রতিবছর মশার কারণে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

৬.মশা অতি অল্প সময়েই কামড়ানোর উপযোগী হয়ে উঠে। ডিম থেকে বের হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি পূর্ণবয়স্ক মশার মত আচরণ করতে শুরু করে।

৭.অনেক সময় খেয়াল করবেন আপনার সাথেই থাকা অনেকজনের মধ্যে কোন একজনকে মশা তুলনামূলক একটু বেশিই কামড়াচ্ছে। এর কারণ তার মধ্যে এমন কিছু আছে যা মশাদেরকে তাকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করে। মশা গায়ের গন্ধ, নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ত্যাগ করা কার্বন-ডাই অক্সাইড থেকে কামড়ানোর জন্যে উপযোগী মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীকে শনাক্ত করে। অনেক সময় চেহারা দেখার মাধ্যমেও শনাক্ত করতে পারে। যদিও তাদের দর্শন শক্তি তেমন একটা উন্নত না। নিয়মিত গোসল না করলে, অতিরিক্ত ঘামলে, শরীরের উত্তাপ বেশি হলে মশা কাউকে সহজেই ভিক্টিম হিসেবে চিহ্নিত করে নিতে পারবে।

৮.মশারা মূলত বদ্ধ জলাশয়ে কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে ডিম পাড়ে। বাড়িতে কোন জায়গায় অল্প পরিমাণে পানি দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকলে সেটা হয়ে উঠতে পারে মশার জন্যে ডিম পাড়ার উত্তম স্থান।

৯.অনেক মশাই আছে যারা শিকার হিসেবে মানুষ ভিন্ন অন্য কোন প্রাণীকে নির্বাচন করে। সেটা পাখিও হতে পারে !

১০.মশার যে স্থানে কামড়ায় সেইস্থান ফুলে যায় এবং অপেক্ষাকৃত লাল হয়ে যায়। মানুষের নিজস্ব প্রতিরোধক ব্যবস্থা আছে। অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ বন্ধ করার জন্যে মানুষের শরীর নিজস্বভাবে রক্ত জমাট করার প্রক্রিয়া তৈরি করে। কিন্তু রক্ত শুষে নেয়ার সময় যদি রক্ত জমাট বেধে যায় তাহলে মশার পক্ষে সে রক্ত শুষে নেয়ার সম্ভব হবেনা। সেজন্যে মশারা স্যালাইভা নামে এক জাতীয় প্রোটিন প্রবেশ করিয়ে দেয় মানুষের শরীরে, যা কিনা রক্তের জমে যাওয়া প্রতিরোধ করে। আর এই স্যালাইভার জন্যেই আক্রান্ত স্থান ফুলে লাল হয়ে যায়।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G