WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'


Warning: mysqli_num_fields() expects parameter 1 to be mysqli_result, bool given in /var/www/vhosts/protikhon.com/httpdocs/wp-includes/wp-db.php on line 3547

WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']
ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''

সূর্যের আলোর সাথে ঘুমের সম্পর্ক সূর্যের আলোর সাথে ঘুমের সম্পর্ক

সূর্যের আলোর সাথে ঘুমের সম্পর্ক

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭ সময়ঃ ৫:২২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:২২ অপরাহ্ণ

Sleep

আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে আমাদেরকে কৃত্রিম আলোয় বেশি বেশি সময় কাটাতে হচ্ছে। ফলে আমাদের দেহঘড়িতে চলে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। ২৪ ঘণ্টায় আলো আর আঁধারের মাঝে মানুষের জীবন যাপনের যে চক্র তাকে ‘সারকেডিয়ান সাইকেল’ বা দেহঘড়ি বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের বাইরে আপনি যত সময় কাটাবেন, আপনার ঘুম তত ভালো হবে। শীতকালে এক সপ্তাহের একটি ছোট্ট ভ্রমন আপনার দেহঘড়িতে সামঞ্জস্য নিয়ে আসবে। প্রাকৃতিক আলো আর আঁধার যতটা উপভোগ করতে পারবেন, ঘুম ততই ভালো হবে।

গবেষণাটির প্রধান বিজ্ঞানী কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেনেথ রাইট বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা সূর্য ডুবলেই ঘুমিয়ে যেত আর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দিনের কাজ শুরু করতো। আমরা সেখানে দিনের বেশীরভাগ সময়ই কৃত্রিম আলোতে কাটিয়ে দিচ্ছি, ঘর থেকে সচরাচর বের হচ্ছি না। আমরা দেরি করে ঘুমানোকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছি। আমাদের চোখ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন আর টেলিভিশনের পর্দার সঙ্কীর্ণ গণ্ডিতে ঘোরাফেরা করছে। ফলে আমাদের দেহের স্বাভাবিক চক্রটি ভেঙ্গে যাচ্ছে’।

২০১৩ সালে আরেকটি গবেষণায় রাইটের দল দেখিয়েছেন, গ্রীষ্মে এক সপ্তাহের ক্যাম্পিংয়ে কোন ধরণের মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করে কিভাবে দেহঘড়িকে প্রাকৃতিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা যায়। মানুষের ঘুমের জন্য যে হরমোন দায়ী, তার নাম মেলানটোনিন। সূর্যাস্তের সময়ই এ হরমোনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষরণ হয়। গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পিংয়ে যারা যায়, তারা সন্ধ্যায়ই ঘুমিয়ে পরতে পারে এই হরমোনটির কারণে। যে অভ্যাসটা তাদেরকে বাড়িতে ফিরে এলেও প্রাকৃতিক নিয়মে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

সম্প্রতি রাইটের দল পাঁচ জন ব্যক্তির উপর গবেষণা চালায়, যারা ডিসেম্বর মাসে এক সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর রকি পর্বতমালায় ক্যাম্পিংয়ে গিয়েছিল। গবেষকরা বেশ কিছু দিন ধরে ওই পাঁচ ব্যক্তির মুখের লালা থেকে মেলানটোনিনের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায়, ক্যাম্পিং থেকে ফিরে আসার পর তাদের জৈবিক রাত তুলনামূলক আড়াই ঘণ্টা আগে শুরু হয়।

গবেষণাটি কেবলমাত্র বাইরে সময় কাটানো এবং গভীর ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে না। এক্ষেত্রে তাপমাত্রাও একটি প্রভাবক হতে পারে বলে মনে করেন রাইট। আরেকটি গবেষণা তাঁরা চালান ১৪ জন ব্যক্তির উপর। ১৪ জন ব্যক্তিকে দুটি দলে বিভক্ত করা হয়। রবিবারে একদল ক্যাম্পিংয়ে যায়, আরেকদল শহরে আধুনিক জীবনযাপন করতে থাকে। দেখা যায়, যে দলটি ক্যাম্পিংয়ে গেছে তাদের জৈবিক রাত শহরের দলটির তুলনায় আগে শুরু হয়েছে।

রাইটের মতে যাদের দেহঘড়িতে জৈবিক রাত দেরিতে শুরু হয়, তারা অনেক ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। তাদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিকস এবং হতাশায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। তারা দিনভর মানসিক অবসাদে ভোগে এবং বিষণ্ণতা তাদের গ্রাস করে ফেলে। তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত ঘুমালেই হবে না, ‘সঠিক’ সময়ে ঘুমিয়ে পরতে হবে।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সারকেডিয়ান ও স্লিপ মেডিসিন’ সেন্টারের পরিচালক ডঃ ফিলিস জি বলেন, সকালের সূর্যালোকের সাথে ক্ষুধা লাগা এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গ্রীষ্মকালে মাত্র দুই দিনের ক্যাম্পিং মানুষের দেহঘড়িকে প্রাকৃতিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে। সূর্যের আলো এবং প্রাকৃতিক অন্ধকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি হয়তো ক্যাম্পিং ভালবাসেন না, তাহলে দিনের বেলায় বেশি করে সূর্যের আলোতে সময় কাটান। আর প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মোবাইল বা কম্পিউটারের কৃত্রিম আলোকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G