কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার ঘুরতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় রেডিও জকি (আরজে) কিবরিয়া। স্ত্রীর হাতে শারিরীক ভাবে হেনেস্তা হয়ে সহযোগিতা চেয়ে ফোন করে বসেন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯— এ। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ পায় স্যোসাল মিডিয়াতে।
থানায় জিডিও হয়ে যায়, তবে এখন পর্যন্ত জিডির তদন্ত রিপোর্ট জানা যায়নি। তবে কক্সবাজার সূত্র থেকে জানা গেছে, বিষয়টি পুরোপুরি পারিবারিক। আরজে কিবরিয়া আর তার স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও মুখ খুলছে না।
তবে আরজে-র অভিযোগ যে কেবল সন্তানদের মারধর করাকে কেন্দ্র করে, তা অনেকই মনে করছেন না। এর পেছনে অনৈতিক সম্পর্ক জের আছে বলেই মনে করছে অনেকেই, ক্সবাজার সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। কারণ একটি পরিবারে সন্তানকে মা মারধর করতেই পারে। এর জন্য বাবা-মায়ের হাতাহাতি বা এর চেয়ে বেশি কিছুর ঘটনা কেন থানা অবদি যাবে- এ ধরনের মন্তব্য আজ সারা দিন স্যোসাল মিডিয়াতে ঝড় তুলেছে।
স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে আরজে গোলাম কিবরিয়া হেনেস্থা হয়েছেন। এ ঘটনায় পুরো দেশ জুড়ে স্যোসাল মিডিয়াতে তোলপাড় হয়ে যায়। ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ বিভাগ তদন্ত করছে বলে আজ জানা গেছ।
গেল বুধবার রাতে পুরো পরিবার সহ কক্সবাজার পৌছেন আরজে কিবরিয়া। পর দিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী এ লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটে।
হোটেলে কিবরিয়ার স্ত্রী রাফিয়া লোরা সন্তানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন কিবরিয়া । সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন গোলাম কিবরিয়া নিজেও। এই নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন বাংলাদেশের এই আরজে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুবই জনপ্রিয় কিবরিয়া । তাঁর আছে নিজের ইউটিউব চ্যানেলও । জানা গিয়েছে বুধবার স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন গোলাম কিবরিয়া সরকার। তাঁরা ওঠেন কক্সবাজারের সাইমন হোটেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া চরমে ওঠে গোলাম কিবরিয়ার। সেখান থেকেই তিনি ফোন করেন ৯৯৯ নম্বরে। পরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গোলাম কিবরিয়া ওরফে আরজে কিবরিয়া স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁরা হোটেল সাইমনের ১০২ নম্বর রুমে ছিলেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।’
তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি তথ্য দিতে রাজী হয়নি কক্সবাজার মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।