বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের অদ্ভুত সব কাণ্ড

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ সময়ঃ ৯:৫১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৫১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

বন্ধুরা, কখনো ভেবেছেন, এমন একজন মানুষ যিনি পুরো পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন তার চিন্তার শক্তি দিয়ে—তাকে নিয়ে কেমন গল্প বলা যায়? হ্যাঁ, আমি বলছি আলবার্ট আইনস্টাইনের কথা। তিনি শুধু গণিত আর বিজ্ঞান নিয়ে মগ্ন থাকতেন না, তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক একটী রোমাঞ্চকর গল্প। আজ আমরা সেই গল্পের দরজা খুলে দেব, যেখানে আছে তার অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা, অপ্রকাশিত মজার ঘটনা, আর তার জীবনের এমন কিছু দিক, যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। তাহলে, প্রস্তুত তো? চলুন ডুব দিয়ে দেখা যাক এক কিংবদন্তির অনন্য জীবন!

১. নিজের বাড়ি খুঁজে না পাওয়া:
আইনস্টাইন এতটাই মনোযোগী ছিলেন তার গবেষণায় যে, অনেক সময় তার আশেপাশের সাধারণ ব্যাপারগুলো ভুলে যেতেন। একদিন তিনি নিজের বাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলেন না! প্রতিবেশীরা তাকে চিনে বাড়ি পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন। জানা যায়, তিনি তার ঠিকানাও মাঝেমধ্যে ভুলে যেতেন। এমনকি, নিজের নামও কখনো কখনো মনে করতে দেরি হতো!
২. মোজার প্রতি অরুচি:
আইনস্টাইন মোজা পরতে একদমই পছন্দ করতেন না। তিনি বলতেন, “মোজার জন্য সময় নষ্ট করব কেন? কী দরকার!” তাই তিনি কখনোই মোজা পরতেন না, এমনকি শীতকালেও। তার মতে, মোজা শুধু একটা ‘অতিরিক্ত বোঝা’।
৩. চুল আঁচড়াতে অপছন্দ করতেন:
তার বিখ্যাত চুলের স্টাইল কি ইচ্ছাকৃত? একদমই নয়। আসলে তিনি কখনোই চুল আঁচড়াতেন না। তার ভাষায়, “চুল নিয়ে চিন্তা করার সময় আমার নেই।” এ কারণে তার চুল সবসময় এলোমেলো থাকত, যা পরবর্তীতে তার একটি ট্রেডমার্ক হয়ে ওঠে।
৪. মজার চিঠি: আইনস্টাইন মাঝে মাঝে তার বন্ধুদের মজার চিঠি লিখতেন। একবার তিনি তার বন্ধুকে লিখেছিলেন, “জানিস, আমার ঘরে একটা বিড়াল আছে, সে বড্ড কষ্টে থাকে কারণ আমি সারাক্ষণ গবেষণায় ব্যস্ত। তবে বিড়ালটাও আমার মতো বুদ্ধিমান হতে পারে।” এমন মজার গল্প তার চিঠিগুলোতে প্রায়ই পাওয়া যেতো।
৫. নোবেল পুরস্কার এবং তার অর্থ:
আপনি কি জানেন, আইনস্টাইন তার নোবেল পুরস্কারের অর্থ নিয়ে কী করেছিলেন? তিনি সেই অর্থ তার প্রথম স্ত্রী মিলেভাকে দিয়ে দিয়েছিলেন। এটা ছিল তাদের বিচ্ছেদের সময় একটি চুক্তি। আইনস্টাইন বলেছিলেন, “আমার কাজই আমার আসল পুরস্কার।”
৬. নিজের জন্মদিন ভুলে যাওয়া:
আইনস্টাইন তার জন্মদিন মনে রাখতে পারতেন না! একবার এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আজ আপনার জন্মদিন কেমন কাটছে?” আইনস্টাইন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “ওহ! আজ কি আমার জন্মদিন?”
৭. সাইকেলের প্রতি ভালোবাসা:
আইনস্টাইন সাইকেল চালাতে খুব ভালোবাসতেন। তিনি বলতেন, “জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে সাইকেল চালানোর মতো চালিয়ে যেতে হবে।” তার এই উক্তি শুধু সাইকেলের জন্য নয়, জীবনের জন্যও দারুণ প্রাসঙ্গিক।
৮. বিড়ালের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক:
আইনস্টাইন বিড়াল খুব পছন্দ করতেন। তার একটি বিড়াল ছিল, যার নাম ছিল টাইগার। একবার টাইগার খুব মন খারাপ করে ছিল বৃষ্টির জন্য। তখন আইনস্টাইন তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, “দেখো টাইগার, আমরা তো প্রকৃতিকে বদলাতে পারি না। তাই মন খারাপ করেও লাভ নেই।”
৯. খাবারের প্রতি উদাসীনতা:
আইনস্টাইন খাবারের প্রতি একদমই উদাসীন ছিলেন। তিনি প্রায়ই এক জায়গায় বসে কাজ করতে করতে খাওয়ার কথা ভুলে যেতেন। এমনকি, একবার তার সহকারী তাকে মনে করিয়ে দেন যে, তিনি সারাদিন কিছু খাননি। তখন তিনি বলেছিলেন, “ওহ! কাজ করতে করতে আমি বুঝতেই পারিনি।”
“বন্ধুরা, আইনস্টাইনের এই অদ্ভুত আর মজার কাণ্ডগুলো আমাদের শেখায় যে, বড় হতে হলে কেবল বুদ্ধি বা প্রতিভা নয়, নিজের মতো করে জীবনযাপন করাটাও জরুরি। তার থেকে আমরা যা শিখতে পারি তা হলো , হাসি-ঠাট্টা আর সৃজনশীলতায় পূর্ণ একটি জীবনই প্রকৃত জীবন। আপনাদের সবচেয়ে পছন্দের গল্প কোনটি? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না! যদি ভিডিওটি ভালো লেগে থাকে, তবে লাইক দিন, শেয়ার করুন এবং আমাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। দেখা হবে পরবর্তী ভিডিওতে!” “জানুন, হাসুন, এবং সবার মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিন!”
————————————-

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

November 2025
SSMTWTF
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930 
20G