ভাল্লুকের সাথে বসবাস
একটি ছোট্ট পরিবার। যেখানে আছে বাবা, মা আর একটি অতি আদরের সন্তান। একই ছাদের নিচে বসবাস করে তারা। বোর্ডিং স্কুলে সন্তানকে পাঠানোর কথা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারে না। ওকে যে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। একসাথে টিভি দেখে। ফুটবল খেলে। বাবা যখন বই পড়ে সন্তান বাবাকে সঙ্গ দেয়। নিজে পড়তে না পারলেও এমনভাবে বইয়ের পাতায় চোখ রাখে যেন সে নিজেও বইটা পড়ছে। বাচ্চার নাম স্টিফেন। তবে এ সন্তান কোনো মানুষের বাচ্চা নয় বরং জলজ্যান্ত আস্ত একটা ভাল্লুক!
সাত ফুট লম্বা আর ১৩৬ কেজি ওজনের একটা ভাল্লুকের পাশে বসে রাতের খাবার খাওয়ার কথা শুনলে অনেকের রাতের ঘুমই হারাম হয়ে যাবে। কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে রাশিয়ার স্ভেতলানা আর ইউরি পেন্টেলিঙ্কো দম্পতি ২৩ বছর ধরে একটা ভাল্লুকের সাথে বসবাস করছে। রাতের খাবার, টিভি দেখা থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই তারা এই ভাল্লুকটাকে নিয়ে করে না।
স্ভেতলানা দম্পতির দাবী, ভাল্লুকটা তাদের দত্তক নেয়া সন্তান। সন্তানের সুন্দর একটা নামও তারা রেখেছে, স্টিফেন। ঘরের কাজে ঠিক সন্তানের মতই সাহায্য করে স্টিফেন। বাগানে পানি দেয়, ঘর গোছায় আরও কত কী করে বেড়ায় স্টিফেন।
স্টিফেনের প্রিয় খাবার হল কনডেন্স মিল্ক। প্রতিদিন এক পাত্র দুগ্ধজাত খাবার খায় সে। তার রাতের কাহাবারের মেন্যু হল ২৫ কেজি মাছ, সবজি আর ডিম। ফুটবলের বেশ ভক্ত এই পোষা ভাল্লুক। বাড়ির আঙিনায় ফুটবল খেলা এবং টিভিতে ফুটবল ম্যাচ দেখা- দুটোতেই মজা পায় সে।
পেন্টেলিঙ্কো জানায়, মাত্র তিন মাস বয়সে স্টিফেনকে জঙ্গল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। তখন থেকেই স্টিফেন তাদের সাথে বসবাস করছে। সে কখনই অন্যসব ভাল্লুকের মতো ক্ষেপে যায় না। এমনকি জীবনে কাউকে কামড় পর্যন্ত দেয়নি।
স্টিফেন পিকনিকে যেতে বেশ পছন্দ করে। ওর অনেক গুণ আছে। জানান স্ভেতলানা।
পোষা ভাল্লুক স্টিফেন বেশ কয়েকটি ফটোশুটে অংশ নিয়েছে। এমনকি চলচ্চিত্রের পর্দায়ও দেখা গেছে তাকে। রাশিয়ান মডেল মারিয়া সিডোরভার সাথে ভাল্লুকটির একটি ছবি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।