৭ বছরের আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরো, ভারতীয় ক্রাইম পেট্রোল দেখেই শিক্ষা!

প্রকাশঃ নভেম্বর ২৫, ২০২২ সময়ঃ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:০৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

গত ১৫ নভেম্বর বিকেল থেকে নিখোঁজ হয় আয়াত নামের ৭ বছরের শিশুটি। চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে গত ১৫ই নভেম্বর নিখোঁজ হয়েছিল শিশু আয়াত। ১০ দিনে পর আজ শুক্রবার পিবিআই জানিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে আয়াতকে। আর মরদেহ ছয় টুকরো করে আলাদা ব্যাগে ভরে নালায় ফেলে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম পিবিআই লাশ উদ্ধার করেছে।

আবির নামের এই ভয়ঙ্কর হত্যাকারী হত্যা গল্পের বর্ণনা দিয়েছে তাকে অপহরণের অভিযোগ গ্রেফতার পর। আবির জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল। সে সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়। পিবিআই বলেছে, ভারতীয় ক্রাইম পেট্রোল দেখেই তথ্য মুছে ফেলা আর পরিকল্পনা শিখেছে বলে জানিয়েছে আসামী আবির।

পিবিআই আজ মিডিয়াতে এ সব তথ্য জানিয়েছে ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের তদন্ত বিভাগ পিবিআই। তবে পিবিআই এখনো নিহত শিশু আয়াতের মরদেহ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আসামি আবিরের বক্তব্য ফলো করেই।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, আবিরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে আয়াতকে হত্যা এবং হত্যার পর তার মরদেহ ফেলে দেয়ার বিষয়গুলো স্বীকার করেছে সে। এঘটনায় স্থানীয় পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবারের সমস্যরা।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শিশু আয়াতের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বেশ আলোচিত হয়। নাইমা সুলতানা বলেন, আয়াতের নানা তাদের কাছে গত ১৫ই নভেম্বর জিডি করার পরে আসেন এবং জানান যে, তারা একটি শিশুকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

এরপর শিশুটিকে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেই অ্যাঙ্গেল নিয়ে কাজ করা শুরু করে পিবিআই। যার জের ধরে পুরো ঘটনা উদঘাটিত হয়। পিবিআই বলছে, গ্রেফতারকৃত আবির হত্যাকান্ডের শিকাড় আয়াতদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো। মূলত তার বাবা-মায়ের সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর বাবার সাথে আয়াতদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠে সে।

তবে, নিমতলা আকমল আলী রোডে তার মায়ের বাসাতেও যাতায়াত ছিল তার।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G