ঈদ ভ্রমণে কিছু সতর্কতা

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫ সময়ঃ ৩:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১৯ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

bari feraঈদের এখনো ৬দিন বাকি। কিন্তু ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই চলে যাচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে ছাত্র, গৃহবধূ আর শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া বেশি।মূলত নাড়ির টানেই বাড়ি যাচ্ছে সবাই। এই ভ্রমণ ঘিড়ে থাকে নানা বিরম্বনা তবে যদি একটু সতর্ক হন তবে এড়ানো সম্ভব এমন বিড়ম্বনা।
১. ঈদে বাড়িতে যাওয়ার সময় যে বিষয়টি সবার আগে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ সেটি হলো কোনো অবস্থাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস, ট্রেন বা লঞ্চে আরোহন না করা। সময়ের চাইতে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।

২. ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় সঙ্গে নিতে হবে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চের ভ্রমণে জানালার পাশে অতিরিক্ত বাতাসের ঝাপটা থেকেও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ধরনের ছোটখাটো বিষয়গুলোও মাথায় রাখা উচিত। বিশেষ করে শিশুরা জানালার ধারের সিটটি পছন্দ করে থাকে। এ কারণে হঠাৎ করেই শিশুরা অতিরিক্ত বাতাসের ঝাপটার মুখোমুখি হয়, যা অনেকেরই সহ্য ক্ষমতার বাইরে। এর ফলে শিশুরা অনেকেই ঠিক ভ্রমণের পর আক্রান্ত হয় সর্দিজ্বর কিংবা কাশিতে।

৩. ভ্রমণে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ডায়রিয়ায়। এর কারণ হলো বাইরের পানীয় এবং খাবার গ্রহণ। আর তাই বাইরের খাবার কোনোভাবেই গ্রহণ করা ঠিক নয়। বিশেষ করে ঘরের তৈরি কিছু খাবার ও পানি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণে বের হওয়া উচিত।

৪. ভ্রমণে খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া অনেকেই আছেন বাসে চড়লে সঙ্গে সঙ্গে বমিভাব কিংবা বমি শুরু হয়। ভ্রমণজনিত বমি বা মোশন সিকনেস প্রতিরোধে স্টেমেটিল/ভার্টিনা ট্যাবলেট ভ্রমণের আধা ঘণ্টা আগে গ্রহণ করা যেতে পারে।

৫. ঈদের ভ্রমণে অধিকাংশ মানুষই গ্রামের বাড়িতে যান। যেখানে অনেক সাধারণ ঔষধও পাওয়া যায় না। তাই সম্ভাব্য অসুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে সাধারণ কিছু ঔষধপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া একটি ফার্স্টএইড বক্স নিজের মতো তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।

৬. একটু সতর্কতা আপনার ঈদ আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আর সামান্য একটু অসতর্কতা আপনাকে ঈদের দিন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুইয়ে রাখতে পারে কিংবা প্রিয়জনকে ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করাতে পারে। ভ্রমণে যতটুকু পারা যায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G