এসেছে ‘রাণী বরষণ’

প্রকাশঃ মে ১২, ২০১৬ সময়ঃ ৭:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৩৭ অপরাহ্ণ

শারমিন আকতার:

46193-cloud8-12-15

‘আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা,

            কোথায় বা সীমানা!

দেশে দেশে খেলে বেড়ায়,

            কেউ করে না মানা’(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

সত্যিই মেঘের রাজ্য দিগন্তবিস্তৃত, মনোলোভা, চিরহরিৎ গুগ্মের মতো সুচেতন। এধার থেকে ওধারে, এপার থেকে ওপারে ঘুরে বেড়ায়, নেচে বেড়ায় ছেলেবেলাকার ছেলেমিপনার মতো। তবুও মন বারে বারে জানতে চায়,  কখন পাবো দরশন ; আনন্দ সারথী বিরহিনী চপলা নয়না রিমঝিম বৃষ্টিকুমারীর অঢেল বরষণ ।  ইদানিং মানুষের রোগ সক্রমিত হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। তাই যত গর্জে তত বর্ষণের দেখা পাওয়া যায় না। এরই মধ্যে সমস্ত আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল। যেন এই বুঝি মুষলধার  ঝাঁপিয়ে, মন উজাড় করে বৃষ্টি দাপিয়ে বেড়াবে। সাথে আছে বিজলীর গরগর গর্জন। কিন্তু না এখনও ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও দেখলাম না। তবে এমন আকাশ দেখতে কার না ভালো লাগে! ভুলে যায় বৃষ্টির কথা; হাতে পেলাম মেঘমল্লারের দেখা। মন্দ কী……
হাওয়ায় হাওয়ায় উদাসী মন, মন বলে যাবে কোন বন? আমি বলি, দাঁড়াও ভাই; একটু ভাবিয়া লই। মেঘ এসে বসেছে সেই ক্ষণ। আমি আজ আকাশপানে ছুটিয়া বেড়াবো, বিরহীর মন করিবো আরও বিরহী, কপটের অন্ধ দুয়ার ক্ষণিকের লাগি খুলিব, মরমের বাঁশি বাজিবে, তৃষিতের স্বাদ জাগিয়ে। তবুও কাহারো পিছুটানে ভুলিবে এ মেঘমল্লার? আজি দখিনা সমিরণে গম্ভীরার সুর বাজিবে, ময়ূরের টুটি ধরিয়া মৃণালিনী নাচিবে। তবু কি আসিবে রাণী বরষণ? মৃদঙ্গ বাজে কোঠালের শব্দে। নিরিবিলি চুপিসারে ধীরলয়ে ভীরুপায়ে ভীতস্বরে কে যায়? এ কি মৃদুমন্দ সমীরণ? না না, সে যে দক্ষিণ পবন হানি, ছলছল চোখে কাতর হৃদয়ে এলোচুলে এলোমেলো সুলোচনা। অবশেষে আলাচারিতার একেবারে প্রান্তে এসে দাঁড়িয়াছে বৃষ্টিনয়না। যাক, চারদিক বেশ হাকডাক।

ওরে, কোথা রে সে নীড় কোথা আশ্রয় শাখা!

তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,

এখনি অন্ধ বন্ধ করো না পাখা    ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

====

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G