কবুতর পালন

প্রকাশঃ আগস্ট ১৯, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

kobutorআমাদের দেশে বিভিন্ন গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর সর্বাধিক জনপ্রিয়। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবুতর পালন করা হয়- এর বাহ্যিক সৌন্দর্য্যগত দিকগুলোর কারণে। প্রাচীনকালে কবুতর পালন করা হতো চিঠি আদান প্রদানের কাজে। শোনা যায় প্রাচীনকালে রাজা বাদশাহ তাঁদের বিভিন্ন ধরনের বার্তা প্রেরণের জন্য বেছে নিয়েছেন কবুতরকে। এছাড়া, সারা পৃথিবী জুড়ে কবুতরকে ধরা হয় শান্তির দূত হিসেবে।

কবুতর পালন করে শুধু অর্থ অপচয় করা নয় বিনোদনের জন্যও কবুতরের ভূমিকা ব্যাপক। অনেকে মনে করেন কবুতর পালন ব্যয়বহুল কিন্তু কথাটি সম্পূর্ন ভুল। অল্প খরচ ও অল্প সময় ব্যয় হয় কবুতর পালনে।

কবুতর সহজেই পোষ মানে এবং গৃহপালিত হয়। ছয় মাস বয়স হতে প্রতি মাসে গড়ে ১ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়। বাড়ির উঠানে বা ছাদে সহজেই কবুতর পালন করা যায়। ১৮ দিনে কবুতরের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। ছয় মাস বয়স হতে প্রতি মাসে গড়ে ১ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়। ছাদের এবং দেয়ালের পাশে বাসা তৈরি করে সহজেই এদের পালন করা যায়। কবুতরের খাদ্য খরচ খুবই কম ও এরা নিজেরাই নিজেদের খাবার সংগ্রহ করতে পারে। কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং বাজারে বেশ চাহিদা আছে। কবুতর পালন আনন্দদায়ক।

কবুতরের রোগবালাই কম। কবুতরের বিষ্ঠা ফসলের জন্য উত্তম জৈব সার। কবুতরের পালক বাচ্চাদের খেলনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ৩/৪ সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চা খাওয়ার উপযোগী হয়।

কবুতরের অনেক গুলো জাত রয়েছে । গোলা, গোলী, টাম্বলার, লোটান, লাহোরী, কিং, ফ্যানটেল, জ্যাকোবিন, মুকি ।

প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G