চোখের মধ্যে লুকিয়ে থাকা স্বাস্থ্যতথ্য

প্রকাশঃ জুলাই ১২, ২০১৫ সময়ঃ ৮:১৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:

Eyesআপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে দেহে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান চিকিৎসকরা। তবে একজন অপথালমোলজিস্ট চোখ দেখেই স্বাস্থ্যগত তথ্য তুলে ধরতে পারেন। আজ জেনে নিন আপনার দুই চোখে কী কী স্বাস্থ্যতথ্য লুকিয়ে রয়েছে।

মানসিক চাপের লক্ষণ

চোখের অভ্যন্তরে আলোর সংস্পর্শে স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে যে অংশটি, তার নাম রেটিনা। এর টিস্যুতে তরল জমতে পারে। ঠিক কী কারণে এমনটি হয়েছে, তা বলতে পারবেন চোখের ডাক্তার। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, স্ট্রেসে ভুগছেন আপনি। আমেরিকান একাডেমি অব অপথালমোলজির এক বিশেষজ্ঞ ব্রেন্ডা পাগান-ডুরান জানান, মানসিক চাপ দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত চোখে বস্তুর আকার ছোট দেখা যায়।

স্নায়ুতন্ত্রের অংশ বিশেষ অবশ

পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না একটি চোখ অথবা ওই চোখের পাতা নিয়মতি বিরতিতে ওঠা-নামা করছে না। ম্যাসাচুসেটস আই অ্যান্ড ইয়ারের গবেষক স্কট গ্রিনস্টেন জানান, এর অর্থ আপনার মুখের পেশি সঠিকভাবে কাজ করছে না। কীটপতঙ্গের কামড়ে বা স্পর্শে এক ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তখন এ ঘটনাই ঘটে। এতে স্নায়ুতন্ত্রের একটি অংশ অবশ হয়ে পড়ে। ফলে চোখের পাতা নিয়মিত আচরণ করে না।

আর্দ্রতা উৎপাদনে বাধা

অনেক সময় চোখ দুটোকে খটখটে শুকনো বলে মনে হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞেরও দৃষ্টি এড়ায় না বিষয়টি। শুষ্ক বাতাস, অ্যালার্জি, বিশেষ ধরনের ওষুধ গ্রহণ ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা হয়। আবার যখন রক্তের শ্বেত কণিকাগুলো দেহে ময়েশ্চার উৎপাদনকারী গ্রন্থিতে আক্রমণ চালায়, তখন চোখ দুটি শুকনো ঠেকে। বিশেষ করে চোখ ও মুখের ময়েশ্চার উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হলে এ সমস্যা দেখা দেয়। চোখে চুলকানি হওয়াটা সাধারণ লক্ষণ।

স্বয়ংক্রিয় রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত

অনেক সময় চোখ দুটি লাল হয়ে যায়। একটু উজ্জ্বল আলোতেও তাকানো যায় না। চোখের মাঝখানের স্তর, অর্থাৎ ইউভেটিস অংশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে এমনটা ঘটে। চোখের সামনের স্তরে বাধাহীনভাবে প্রোটিনের সঞ্চালন ঘটলেও চোখে লালচে ভাব আসে। আটলান্টার এমোরি আই সেন্টারের বিশেষজ্ঞ এমিলি গ্রুবার্ট জানান, দেহের স্বয়ংক্রিয় ইমিউন সিস্টেম বাধাগ্রস্ত হলেও এমন হয়।

নিয়ন্ত্রণহীন কোলস্টেরল

হালকা ধূসর বা হলুদ রঙের একটি রিং কর্নিয়ার চারদিকে দেখা যায়। চোখের চারপাশের ত্বকে ঘন তরলের পুরু আস্তরণও পড়তে পারে। এর অর্থ হলো, দেহের কোলস্টেরলের মজুদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। চোখের ওই ঘন মজুদকে বলে ‘জানথেলাসমাস’। রক্তের লিপিড লেভেল চরমভাবে বৃদ্ধি পেলে চোখে এমন হয়।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

চোখের পেছনের দিকের রক্তবাহী নালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর এমন হলেই রক্তের গ্লুকোজ ও রক্তচাপ পরীক্ষা করিয়ে নিন। চোখের রেটিনা বিস্তৃত হয়ে ওঠা ডায়াবেটিসের লক্ষণ প্রকাশ করে। কারণ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা চোখের রক্তবাহী নালিগুলোকে বন্ধ করে দেয়।

দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া

সময়ের আগেই ছানি পড়া অন্য স্বাস্থ্যতথ্য দেয়। ২০১২ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, ধূমপানের কারণে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার নানা লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এ প্রভাব কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপরও পড়ে। ফলে চোখ প্রয়োজনীয় পুষ্টি অথবা অক্সিজেন পায় না। এ কারণে কম বয়সেই ছানি পড়তে থাকে।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G