চোরাচালানের ২১৭০ ভরি স্বর্ণ নিলামে বিক্রি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশঃ নভেম্বর ৮, ২০২২ সময়ঃ ৩:২৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:২৫ অপরাহ্ণ

অর্থনীতি প্রতিবেদন

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় এক নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে ২১৭০ ভরি স্বর্ণ বিক্রি করা হবে। চলতি মাসেই সোনা বিক্রির প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। চোরাচালান ও পাচারের সময় উদ্ধার করা অথবা অবৈধভাবে আসা, সোনা নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক লটে ২৫ হাজার ৩১২ গ্রাম (২৫.৩১ কেজি) বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করা হবে। তবে যে কেউ চাইলেই নিলামে সোনা কিনতে পারবেন না। শুধুমাত্র এ খাতের লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীরা নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ বা চোরাচালানের সোনা উদ্ধার করে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। উদ্ধার করা সোনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা থাকে। মামলার রায় সরকারের পক্ষে হলে উদ্ধার সোনা নিলামে বিক্রি করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি আর স্থায়ী খাতে রয়েছে ১৫৯ কেজি সোনা। এখন স্থায়ী খাত থেকে ২৫ কেজি সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী নিলামে অংশ নিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, মূসক নিবন্ধন, বিআইএন সনদ, সোনা ক্রয়, মজুত ও সরবরাহের লাইসেন্স, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদ, আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সনদ, আয়কর পরিশোধের হালনাগাদ সনদ, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানি হলে কোম্পানির নিবন্ধন সনদ, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন ও পরিচালকদের হালনাগাদ তালিকা জমা দিতে হবে।

আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আগ্রহী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে দুই হাজার টাকা জমা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে দরপত্র শিডিউল ক্রয় করতে পারবেন। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। পরে যাচাই-বাছাই করে নিলামে অংশ নেয়ার জন্য যোগ্যদের একটি তালিকা করা হবে। এ পর্যায়ে যেসব সোনার বার, অলংকার, টুকরা বা পাত বিক্রি করা হবে তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত সস্থানে উপস্থিত হয়ে সোনা কতটুকু খাঁটি তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে নিলামে অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একজন স্বর্ণকার বা পরীক্ষক যেতে পারবেন। এই প্রদর্শনের তৃতীয় কর্মদিবসে দরপত্র জমা দিতে হবে। সঙ্গে দরপত্রে উদ্ধৃত মূল্যের আড়াই শতাংশ অর্থ বায়না বা নিরাপত্তা জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে সোনা ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়ার পাঁচদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সব অর্থ জমা দিতে হবে। অর্থ পরিশোধ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সোনা নিতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত ও প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে।

দেশের বাজারে সবশেষ ২৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া সোনার দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভ‌রি সোনার মূল্য ৮০ হাজার ১৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৬ হাজার ৫১৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৬৫ হাজার ৫৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৫৪ হাজার ৩৫৪ টাকা।

সূত্র : বাংলাদেশ ব্যাংক

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G