পার্বত্যাঞ্চলে মৌসুমি ফলের বাম্পার ফলন

প্রকাশঃ মে ১৪, ২০১৫ সময়ঃ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

fruritsপার্বত্যাঞ্চলের বাজারগুলো এবছর মৌসুমী ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে।

বছর ঘুরে এসেছে মধুমাস। আবার চলেও যাচ্ছে সবার কাছ থেকে। এই মাসটি বাঙালির কাছে মধুমাস হিসেবেই পরিচিত। এই মাসে আম, জাম, লিচু, কাঠালসহ অন্যান্য নানা ফলের সমারহ ঘটে।

আবহমানকাল থেকে বাঙালি রসনা মেটায় এসব রসালো ফল খেয়ে। তবে মধুমাসটি একদম শেষের দিকে। তারপরও মিষ্টি ফলের সুগন্ধে ভরপুর পার্বত্যাঞ্চল।

এই মধুমাসে পাহাড়ে রয়েছে মিষ্টি ফলের সমারোহ।

পার্বত্যাঞ্চলের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় মৌসুমি ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে। মৌসুমি ফলগুলো স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

এ বছর রাঙামাটিতে মৌসুমি ফলের মধ্যে লিচু, আনারস ও আমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়াতে কাঁঠালের ফলন ভালো হয়নি।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত মৌসুমি ফলের মধ্যে আনারস, জায়েন্ট কিউ, হানিকুইন ও জলঢুবি এ তিন জাতের চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে হানিকুইন জাতের আনারস বেশি চাষ হয় এ জেলায়।

বনরূপার সমতাঘাট, কলেজ গেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আনারসের বড় সাইজের প্রতিজোড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, মাঝারি সাইজের ৩০ থেকে ৪০ টাকায় এবং ছোই সাইজের ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একশ’ চায়না লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২শ’ টাকায়। আম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং প্রতিটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

অন্যদিকে রাঙামাটিতে হিমাগার না থাকায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার আনারস, কাঁঠালসহ অন্যান্য ফলমূল নষ্ট হচ্ছে। রাঙামাটিতে হিমাগার স্থাপনের জন্য কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও এখনও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাঙামাটি জেলার উপপরিচালক নরেশ চন্দ্র বাড়ই জানান, পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমি ফলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়াতে এ বছর কাঁঠালের ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G