যুদ্ধের জন্য অস্ত্র না কিনে পরিবেশ উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করতে হবে : মেয়র আতিক

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৬, ২০২২ সময়ঃ ১:২৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:২৪ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদন

‘যুদ্ধের জন্য অস্ত্র না কিনে, এই টাকার একটি অংশ পরিবেশ উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্র কিনতে যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তার তিনের একাংশ পরিবেশের জন্য ব্যয় করতে হবে। তাহলে আগামী প্রজন্মকে সুস্থ একটি পরিবেশ দিয়ে যেতে পারবো’ – কথা গুলো বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার বিকেলে মিসরের শারম-আল-শেখে যুক্তরাষ্ট্রের ইউ এস সেন্টার আয়োজিত ‘এ মেটার অব স্কেল: সাব-ন্যাশন অ্যাকশন ফর ক্লাইমেট অ্যামবিশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমাদের সময় এখন কথা কম কাজ বেশি করার। উন্নত দেশগুলো আমাদের কোনোভাবে সার্পোট দিচ্ছে না। উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ ও সার্পোট না দিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলন বৃথা হবে। এতে হ্যান্ড টু হ্যান্ড নয়, হার্ট টু হার্ট হিসেবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরের মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধু শহরের খালি জায়গা, সবুজ স্থান ও জলাশয়ে আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে। শহরে দারিদ্র্যের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের জন্য আবাসন, খাবার পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা খুব চ্যালেঞ্জিং। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যয় বাড়তেই থাকবে।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘২০৩০ সালের আগে মাত্র ৮টি জলবায়ু সম্মেলন বাকি রয়েছে। এখনই সময় কথা বলার। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব তিনি বলেন, ‘খুবই সামান্য পরিমান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশ প্রতি বছর জনপ্রতি গড়ে ৫ মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। অথচ উন্নত দেশগুলো ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি নিঃসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রতি ১৫.২ মেট্রিক টন যা প্রায় ৩০ গুণ বেশি। কিন্তু ২০৫০ সালের মধ্যে বা তার আগেই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। তাই এখনই উন্নত দেশগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

মেয়র বলেন, পরিবেশের ক্ষতির কারণে আমাদের শস্য নষ্ট হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রান্তিক খামারিরা নিঃস্ব হয়ে যায়। উন্নত দেশগুলো বেশি বেশি কার্বন নিঃসরণ করে আমাদের ক্ষতি করছে। জমিতে লবণাক্ত পানি জমে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের শস্য বিমা করতে হবে। বিমার অর্থ উন্নত দেশগুলোকে পরিশোধ করার দাবি জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী সিটি অব ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি ছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। কপ-২৬ এ তিনি উন্নত দেশগুলিকে দায়িত্ব নিতে এবং বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানান।’

সূত্র : বাসস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G