১ জনের রক্তে প্রাণ বাঁচলো ২ লক্ষ জনের!

প্রকাশঃ জুন ১৭, ২০১৫ সময়ঃ ৭:০৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০০ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

james-harrison১৪ বছর বয়সে ফুসফুসে জটিল অপারেশন হয়। রক্ত লেগেছিল ১৩ ইউনিট। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে নিজের বাবার কাছ থেকে শুনেছিলেন জীবন ফিরে পাবার গল্প। কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তির রক্তে প্রাণ বেঁচেছিল তার। সেই থেকেই জীবনে রক্তের মূল্য কী তা বুঝেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা জেমস হ্যারিসন। এরপর গত ছয় দশকে প্রতি সপ্তাহেই রক্ত দিয়েছেন ৭৮ বছরের হ্যারিসন। আর তার রক্তেই প্রাণ বেঁচেছে ২ লক্ষেরও বেশি শিশুর।

অস্ট্রেলিয়ার রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিসের তথ্যানুসারে, ৬০ বছর ধরে হ্যারিসনের রক্তে প্রাণ বেঁচেছে বহু শিশুর। সংখ্যাটা ২ লক্ষেরও বেশি। হ্যারিসনের রক্ত দিয়ে তৈরি হয় একধরণের ভ্যাকসিন। ওই ভ্যাকসিন ব্যবহার করেই প্রাণ বেঁচেছে গর্ভ মধ্যস্থ শিশুর।

অস্ট্রেলিয়ার ১৭% মহিলা রেসাস রোগে আক্রান্ত হন। ওই রোগে আক্রান্ত মায়েদের গর্ভে যে ভ্রুন বেড়েেউঠে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই গর্ভের মধ্যেই মারা যায়। আর যে শিশুরা ভূমিষ্ঠ হয় তারা বিকলাঙ্গ হয়। তাদের ব্রেন স্বাভাবিকভাবে কাজ করেনা। যে মায়েদের রেসাস রোগ হয় তাদের রক্ত গর্ভস্থ শিশুর রক্তের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। যার জন্য মায়েরা মৃত শিশুর জন্ম দেন। এই রোগের প্রতিকার পেতে এক ধরণের ভ্যাকসিনের খোঁজ করছিলেন চিকিৎসকরা। হ্যারিসনের রক্তেই তৈরি হয় সেই ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের নাম RhD।

সারা পৃথিবীতেই এখন এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। তবে অস্ট্রেলিয়াই প্রথম দেশ, যারা এই ভ্যাকসিনের আবিষ্কার করেছিল।
হ্যারিসনকে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ‘দ্য ম্যান অফ গোল্ডেন আর্ম’ নামেই চেনে। ১ হাজার বারের বেশি সময় রক্ত দিয়ে হ্যারিসন ‘একজন গর্বিত রক্তদাতা’। ন্যাশনাল হিরোর সম্মানে সম্মানিত হন হ্যারিসন।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G