২৩ মার্চ ২০২৩ পবিত্র রমজান মাস শুরু

প্রকাশঃ নভেম্বর ৭, ২০২২ সময়ঃ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদন

নতুন বছর ২০২৩ সালে পবিত্র রমজান কবে শুরু হবে, এর ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সিয়াম সাধনার পবিত্র এ মাসটি শুরু হতে বাকি আর মাত্র ১৩৫ দিন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গণনা অনুসারে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার)। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমি (জ্যোতির্বিদ্যা) সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, আরব ইউনিয়ন ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সেস-এর সদস্য ইব্রাহিম আল জারওয়ান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০২৩ সালে রমজান শুরু হতে পারে ২৩ মার্চ এবং চলবে ২৯ দিন।

তিনি জানান, আগামী বছর আরব আমিরাতে রোজা রাখার সর্বোচ্চ সময় হতে পারে আনুমানিক ১৪ ঘণ্টা এবং মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই সময়ে প্রায় ৪০ মিনিটের পরিবর্তন আসবে। ইব্রাহিম আল জারওয়ান স্পষ্ট করে বলেন, ২০২৩ সালে রমজানের নতুন চাঁদ দেখা যাবে ২২ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২৩ মিনিটে। সেই হিসাবে, পবিত্র ঈদুল ফিতর ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) ‍পড়বে বলে জানান তিনি।

রমজানের প্রথম দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা রোজা রাখবেন প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা। আর পবিত্র এই মাসের শেষ দিনে তারা রোজা রাখবেন প্রায় ১৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। রহমত, মাগফেরাত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে আসা পবিত্র রমজান নিঃসন্দেহে অন্যান্য মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসের অর্জিত জ্ঞান অন্যসব মাসে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর ও আলোকিত হয়ে ওঠে। ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।

ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। আর সিয়াম সাধনার অর্থ: সুবহেসাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার, পাপাচার এবং খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত ও সংযত রাখা। পবিত্র এ মাস মানুষকে সব ধরনের গর্হিত ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে এবং সবাইকে সাধ্যমতো ইবাদত বন্দেগি করার জন্য উৎসাহিত করে। প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো, আগের সব গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে সাচ্চা মুসলমান হয়ে জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞা করার মাস। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত।

ফরজ নামাজ ও রোজা, এশার নামাজের পর তারাবিহ পড়া, সেহরির আগে তাহাজ্জুদ পড়া, যথাসম্ভব জিকির ও কোরআন তেলাওয়াত করে সময় কাটানো উচিত। সেই সঙ্গে দান-সাদকা করা, আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হক আদায় করা বাঞ্ছনীয়। অশ্লীলতা, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, অন্যের হক খাওয়া, সুদ ও জুয়াসহ সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরজ, রমজান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কারণ, বরকতপূর্ণ সময়ের গুনাহর কাজ অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক হয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা সবসময় প্রার্থনা করি আমাদের সবার জীবনে যেন রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্র : সময় টিভি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
20G