শারমিন আকতার
এইমাত্র মেঘদূত এসে জানালো, শরতের আকাশে হঠাৎ কালো মেঘ ধেয়ে আসছে। শুনে রাণী শরৎ ভীষণ বিরক্ত হল। এই অসময়ে আবার কেন এল সে? কাশফুলগুলোর না জানি কী অবস্থা ? মেঘদূত বলল, “রাণি সাহেবা, আপনি কাশফুল নিয়ে ভাবছেন তাই না?
আর এদিকে যে, জুঁই, চামেলি, জাম, জামরুল আর লক্ষীপেঁচারা বেজায় খুশি; তা কি দেখবেন না। এত মন ভরে শান্তির গোসলটা বেচারাগুলো করলো, তাও কি কম? ইদানিং সূর্যের যা তেজ দেখছি; সবইতো পুড়ে ছাই হওয়ার যোগাড়। সেদিক থেকে বৃষ্টিরাণী আর ইন্দ্রজিৎ ঠিক কাজটাই করছে বটে।
সারা শহর জুড়ে বৃষ্টি আর বৃষ্টি । আর চোখের সীমানা যতদূর যায় তারও বেশি মেঘের ঘনঘটা। চারদিক মেঘের একটাই আনন্দবার্তা, মেঘঘুরঘুর মেঘঘুরঘুর। সেই শান্ত মেঘে বিজলী এসে হাজির হলো তার ঝলকালো আর চমকানো আওয়াজ নিয়ে। যেখানে প্রকৃতি তার সমস্ত রূপের পসরা সাজিয়ে দমকা হাওয়ায় ডঙ্কা বাজিয়ে সুরের তালে মনের ভুলে মাদল বাজিয়ে বৃন্দ নৃত্যে মেতে উঠেছে সেখানে বড় বেমানান লাগছে শ্রাবণের অঝোর ধারার ঘুমপাড়ানি ঘুমে মগ্ন থাকায়। ঘুম যখন ভাঙলো সমস্ত বাদ্য-বেহালা বাজিয়ে রিমঝিমঝিম সুরে বেজে উঠল প্রকৃতির আরাধ্য বৃষ্টি।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে