গাছে গাছে আমের মুকুল

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫ সময়ঃ ৯:০৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:২০ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডটকম:

amer bolগাছে গাছে আমের আগাম মুকুল জানান দিচ্ছে মধু মাস সমাগত। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুন্দর গন্ধ। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। যেসব গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে তার বাগান মালিকরা পরিচর্যাও শুরু করে দিয়েছেন রীতিমত।

বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। আম বলতে এক সময় উত্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীকেই বোঝাত। কিন্তু এখন পরিপেক্ষিত অনেকটা ভিন্ন।

নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা ও মহাদেবপুর এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সব জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষি জমিতে বাড়ছে আমের আবাদ।

বরেন্দ্র অঞ্চলের আম চাষিরা জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও গেল কয়েক সপ্তাহ থেকেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আম চাষিরা বলছেন আবহাওয়া অনুকূল থাকলে নিশ্চিতভাবে আমের ভালো ফলন হবে। জেলার বরেন্দ্র অঞ্চল ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় রয়েছে বড় বড় আমের বাগান।

এখানকার চাষিরা প্রায় সপ্তাহ খানেক হল আম গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন। মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। প্রায় গাছেই আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। তবে গুটি ও আশ্বিনা জাতই বেশি। তারা আশা প্রকাশ করছেন এবার আমের ফলন ভালো হবে।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম নুরূজ্জামান মণ্ডল বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই মূলত আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। আগাম যেসব গাছে মুকুল আসছে তা কেবল আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে।

আগাম গাছে মুকুল আসার বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। পুরোনো জাতের গাছগুলোতে মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের শেষের দিক পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে। গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকেই গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছিল।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিবছর আমবাগানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ২০০৪ সালের পর থেকে আমবাগানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নতুন আমবাগানগুলোর প্রায় বনেদি জাতের। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিনা জাতের বেশি। সেই সঙ্গে গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G