সফল মাছ চাষী সফিকুল ইসলাম

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

কৃষি প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

12দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সড়কপথে কুষ্টিয়ার দিকে যেতে বাংলাদেশ হাট বাসস্ট্যান্ড পার হতেই চোখে পড়ে সড়কের দু’পাশের বড় বড় পুকুর। পুকুরের পাড়ে আইলে লাগানো আছে পেয়ারা, লেবু, লিচু আর আমের গাছ। একটু ভালো করে চোখ মেলে তাকালে দেখা যাবে পুকুরের পানিতে মাছের ঝাঁক।

এখানে প্রায় প্রতিদিনই সকাল বেলা দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ মাছের পোনা ব্যবসায়ীদের পোনা সংগ্রহ করতে।  সাইকেলের পেছনে বড় বড় ডেকচি নিয়ে এখানের পুকুরের পাড়ে বসে থাকে লাইন ধরে মাছের পোনার জন্য। দূর-দূরান্তের মানুষবিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এখানে বড় মাছ কিনতে আসেন। আর অন্যান্য মাছ বিক্রি করা হয় পাংশা বাজারের আড়তে।

এই রুপালি উদ্যোগের আয়োজক পাংশা উপজেলার বোয়ালিয়া হাটগ্রামের খন্দকার সফিকুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া সফিকুল ইসলাম জানান, কলেজ জীবন থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ১৯৯২ সালে মাছ চাষ শুরু করি।

মাত্র ১৫ হাজার টাকা মূলধনে একটি পুকুর দিয়ে যাত্রা শুরু। রাজবাড়ী সরকারি মৎস্য হ্যাচারি ও পাংশা উপজেলা মৎস্য অফিসের পরামর্শ নিয়ে শুরু থেকেই সফলতা পেলাম। বর্তমানে ১৫টি ছোট-বড় পুকুরে মাছ চাষ চলছে। এখানে জলের আয়তন রয়েছে ১১ একর ৫০ শতাংশ। জলাভূমির ৫ একর লিজ নেয়া এবং বাকিগুলো খামারের লভ্যাংশ দিয়ে ধীরে ধীরে ক্রয় করে পুকুর তৈরি করা হয়েছে। পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, বিগহেড, থাইপুঁটি, কার্ফু, গ্রাসকার্পসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছের চাষ করা হয়।

প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত নদী ও সরকারি হ্যাচারি থেকে উৎপাদিত রেণু সংগ্রহ করে খামারে নার্সিং করে বিভিন্ন সাইজে বড় করে বাজারে বিক্রি হয় এখানে।

সফিকুল ইসলাম বলেন, গতানুগতিক মাছ চাষ পদ্ধতি পরিহার করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে অর্থাৎ পানির উচ্চতা ও স্তর নির্ধারণ করে শতাংশ প্রতি মাছের পোনা হিসাব করে খামার পরিচালনা করলে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

এক্ষেত্রে মাছ সুস্বাদু এবং খামার পরিবেশবান্ধব রাখতে রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার না করে গোবর ও খৈলজাতীয় জৈবসার ব্যবহার করতে হবে এবং মাছের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য প্রতি ৩ মাস অন্তর খামারে চুন ব্যবহার করতে হবে।

সরকারী সহযোগীতা ও সহজ শর্তে ব‌্যাংক ঋণ পেলে তার এ প্রক্ল্প আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।

প্রতিক্ষণ/এডি/জীবন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G