কুল চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

কৃষি প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

kul-pic

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত ছয় জাতের কুল চাষ ভাগ্য বদলে দিয়েছে অনেক কৃষকের। কুল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। সুমিষ্ট কুল দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী হচ্ছে বিদেশেও।

চার মাসের ফসলে প্রতি বিঘা জমিতে লক্ষাধিক টাকা আয়ে বদলে গেছে কৃষকের ভাগ্য। চোখের কোনে হাসির ঝিলিক। পাল্টে গেছে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। পাঁচ শতাধিক পরিবারে ফিরেছে সচ্ছলতা। সব মিলিয়ে কুল চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে মানুষ।

দেশের দক্ষিনাঞ্চলের জেলা গুলোতে দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে তিন বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন শার্শার কুচেমোড়ার ও পানবুড়ি গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ও বিপুল হোসেন। কুল চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহসহ সুনাম অর্জন করে অন্য চাষিদের অনুপ্রাণিত করছে। এখন উপজেলা জুড়েই এখন কুল চাষ করা হয়। বেনাপোল, কাগজপুকুর বাগআচড়া, উলাশি, কায়বা, নাভারন ও হাঁড়িখালিতে চলে আপেল, নারিকেল, বাউকুলসহ মৌসুমি কুলের চাষ। আর এই কুল চাষকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কুলের বাজার।

দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের এ এরাকা গুলোতে কুল চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো কুলের আড়ত। প্রতিদিন ওই সব আড়ত থেকে ট্রাক ট্রাক কুল যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের ফল বাজারে। এক বিঘা কুল চাষে খরচ বাদে লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান সফল চাষি আজিজুল ইসলাম। প্রথম বছর প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। ১০ বছর পর্যন্ত খরচ বাদে লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান চাষিরা।

কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন এ জাতের কুল চাষ করে কৃষকরা ভাল ফলন পাচ্ছে। আগামীতে জাত উন্নয়নের জন্য তাদের গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

চাষীরা সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারী সহযোগীতা পেলে কুল চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবেন বলে তাদের আশা।

প্রতিক্ষণ/এডি/জামান

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G