তোমাদের হাতে আগামীর একুশ

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭ সময়ঃ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:০২ অপরাহ্ণ

শারমিন আকতার:

16486682019_9f564875be_bরাত যত গভীর হচ্ছে শহিদ মিনারের আশপাশে মানুষের ঢল নেমেছে। সবাই উন্মুখ হয়ে আছে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। অবশেষে যখন সে সুযোগ মিলল তখন উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের জায়গা নেই। তবুও কারো মুখে কোনো বিরক্তিভাব নেই। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছে; সাথে ছোট বাচ্চাও।

তারা আগামী প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে চান একুশের মশাল। সে ভাবনা থেকে বাবা-মায়ের হাত ধরে এসেছে অনেক ছোট শিশু। তাদের চোখে রাজ্যের কৌতূহল। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে চারপাশ। এত মানুষ এল ফুল দিতে!

একজন প্রশ্ন করে বসলো বাবাকে, ‘বাবা এত মানুষ কেন এল গভীর রাতে। ওদের ভয় লাগে না?’ বাবার পাল্টা প্রশ্ন, ‘তোমার ভয় লাগেনি’? আজ আমরা যাদের কাছে এসেছি তাঁরাও ভয় ভুলে গিয়ে তোমার-আমার মতো অনেকের কথা ভেবে পাকিস্তানি পুলিশের সামনে মাথা উঁচু করে চিৎকার করে বলেছিল, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। যদি তারা এত সাহস দেখাতে পারে তবে আমরা কেন এত রাতে ওদের স্মরণে আসতে পারবো না? ছোট্ট শিশুটিকে দেখে মনে হল এবার সে বুঝতে পেরেছে একুশের প্রথম প্রহরে রাতের নিরবতা আর নিরাপত্তার ভয়কে সরিয়ে কেন এখানে আসতে হয়।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G