ব্যবসায়ীক কাজে টাকা আদান-প্রদানে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান

প্রকাশঃ নভেম্বর ২৬, ২০২২ সময়ঃ ৩:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৫১ অপরাহ্ণ

ক্রাইম প্রতিবেদক

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সংবাদ সম্মেলনে বড় অংকের টাকা লেনদেনের সময় ব্যবসায়ীদেরকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি, ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কেরাণীগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ৮৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত চক্রের সোর্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোহাগ মাঝি, মো. দেলোয়ার, মো. জয়নাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. জনি ও মো. আজিজ। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা, একটি হাইয়েচ মাইক্রোবাস ও একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম বিশেষ অভিযানটি চালায়। অভিযানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কেরাণীগঞ্জের ব্যবসায়ীর ৮৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া, পটুয়াখালী সদর থানা ও ঢাকা মহানগরীর কাজলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গত ১৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী কেরামত আলী দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার দড়িগাঁও বাজারে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাগে করে নগদ ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে পিকআপযোগে আব্দুল্লাপুরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উদ্দেশে রওনা করেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত ব্যবসায়ী কেরামত আলীর গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান। ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেরামত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম গত ২৫ নভেম্বর অভিযানে সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে পটুয়াখালী সদর এলাকা হতে একজন ডাকাতকে ১৯ লাখ টাকাসহ এবং ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েচ মাইক্রোবাসসহ একজন ডাকাতকে এক লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G