রোববার খালেদাকে আদালতে নেয়া হবে

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮ সময়ঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালেদাকে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলেই তাকে রোববার আদালতে হাজির করা হবে।

অপরদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, পুলিশ অনুমতি চাইলে তাদের দেওয়া হবে। এই মামলায় তিনি রোববার পর্যন্ত জামিনে রয়েছেন।

খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থাপন করার জন্য গত বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করে দুদক। কিন্তু আবেদনের বিষয়ে আদালত এখনও কোনো আদেশ দেননি। আদালতের আদেশ না পাওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে খালেদাকে আদালতে নেয়ার বিষয়ে এখনও আবেদন করা হয়নি।
এ বিষয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রোববার আদালত শুরু হওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে হাজির করার জন্য সকালে জেল গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হবে। জেল কর্তৃপক্ষ যদি খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য তাদের অনুমতি দেন তাহলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, খালেদাকে আদালতে হাজির করার বিষয় পুলিশের। তারা যদি খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে চায় তাহলে তাদের অনুমতি দেওয়া হবে।

এ দিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থাপন করার জন্য আমরা একটি আবেদন দিয়েছি আদালতে। এখন তাকে আদালতে হাজির করার বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ।

আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা আদালতে হাজির করার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার দুদক একটি আবেদন করেছেন। আদালত সে বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি। রোববার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য বিচারকের অনুমতি লাগবে। আমার জানা মতে এখনও তাকে আদালতে হাজির করার বিষয়ে কোন আদেশ হয়নি।

এর আগে, ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আদালত বলেছেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। রায়ের পরই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G