রাখাইনদের নাগরিকত্বের প্রমাণ ছাড়া ফেরত নেয়া হবে না: মিয়ানমার

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭ সময়ঃ ৮:২২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:২২ অপরাহ্ণ

রাখাইনের সহিংসতায় পালিয়ে আসা লোকজনকে নাগরিকত্বের প্রমাণ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) ইউ থং তুন এ মন্তব্য করেন।

বুধবার রাখাইন ইস্যুতে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের এই রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা বলেন, ‘নাগরিকরা কত দিন ধরে মিয়ানমারে বসবাস করেছে; সে বিষয়ে অবশ্যই প্রমাণ থাকতে হবে। যদি সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তারা ফেরত আসতে পারবেন।’

রাজধানী নেইপিদো, ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও মল্যামিয়াংসহ দেশটির প্রধান প্রধান কিছু শহরে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি থাকলেও তিনি বলেন, জনগণের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। তবে সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যে দুর্বল হয়ে পড়া জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।

ইউ থং তুন বলেন, রাখাইন প্রদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এনএসএ ছাড়াও প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং সীমান্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিদিন আলোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহ্বানে সরকারের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেননি।

দেশটির জাতীয় এ নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্র, জনগণের সুরক্ষা ও রাখাইন রাজ্যে পুলিশের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাখাইন ইস্যুতে কফি আনান অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করছে সরকার। রাখাইন সঙ্কটে জাতিসংঘের সাবেক এই মহাসচিব গত ২৪ আগস্ট একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

কফি আনান কমিশনের এই প্রতিবেদনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া রাখাইনে মানবিক ত্রাণসহায়তা বিতরণ ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ১৯৮২ সালের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন এনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়ার সুপারিশ করে অানান কমিশন।

ইউ থং তুন বলেন, দাতা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে মিয়ানমার সরকার। ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র রাখাইনে ত্রাণসহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। মিয়ানমার রেড ক্রস সোসাইটি এসব ত্রাণ গ্রহণ করেছে। কোনো দেশ সহায়তা করতে চাইলে প্রথমে সরকারকে অবগত করতে হবে।

তিনি বলেন, তারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা এসব ত্রাণ গ্রহণ করছি।

সূত্র : মিয়ানমার টাইমস।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G