প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দিতে না চায়লে মেনে চলুন

প্রকাশঃ নভেম্বর ২৬, ২০১৬ সময়ঃ ১০:০৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:১২ অপরাহ্ণ

pragnancy

সুস্থ সন্তান পৃথিবীতে জন্ম নিলে মায়ের চেয়ে খুশি আর কেই বা হতে পারে? সেতো মায়ের অস্তিত্বের অংশ। তাই সুস্থ সন্তানের জন্য প্রসূতি মাকে কিছু কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। আর এ কারণেই গর্ভবতী নারীর প্রয়োজন প্রচুর ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া।

অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি গর্ভধারণের প্রথম তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়৷ তাই গর্ভ ধারণের শুরু থেকেই ফলিক অ্যাসিড খেলে অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়৷

অনাগত শিশুর রক্তস্বল্পতা ও হাড় গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি গর্ভবতী নারীর খাবারে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে৷ এছাড়া যথেষ্ট আমিষের অভাবেও শিশুর মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তাই প্রসূতী মাকে নিয়মিত ভিটামিনযুক্ত খাবার খেয়ে যেতে হবে৷

মনে রাখবেন, ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট সকালবেলা খালি পেটে খেলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে৷ আবার এটাও মনে রাখতে হবে এমন কিছু ঔষধ আছে যা ফলিক অ্যাসিডের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে৷ তাই এ ব্যাপারে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে৷ তাছাড়া আলো এবং গরমের কারণেও ফলেটের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়৷ তাই খাবারের পুষ্টিগুণ যদি পুরোপুরি পেতে চান তাহলে সবজি ও ফল কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ অবস্থায় খাবেন৷

দুধ বা দুধের তৈরি খাবার, শষ্যদানা, শিম, যে কোনো ধরণের কপি, টমেটো, ডাল, মটরশুটি, পালংশাক, কমলালেবু বা শিম জাতীয় সবজিতে রয়েছে প্রচুর ফলেট৷ স্যামন মাছেও পাবেন ফলেট, তবে মাছ ভালোভাবে সেদ্ধ বা ভাজা হতে হবে৷ ভেতরে কাঁচা থেকে যাওয়া মাছে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়৷

মাত্র ১০০ গ্রাম টমেটোতে পাওয়া যাবে ৩৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট৷ তবে ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি লাল ক্যাপসিকামে কিন্তু রয়েছে ৮৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট৷ তাছাড়া আম বা কলাতেও যথেষ্ট ফলেট থাকে৷

এভাবে সঠিক পদ্ধতিতে পরিপূর্ণ সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে মাও ভালো থাকবেন সাথে তার সন্তানও। তাই অবহেলা না করে এখনই মনোযোগ দিন যারা এ বিষয়ে ভাবছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/তাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G