প্রবাসীর গায়েব হওয়া আইফোন অবশেষে উদ্ধার

প্রকাশঃ জুলাই ৯, ২০২১ সময়ঃ ৬:২৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:২৮ অপরাহ্ণ

প্রবাসী এক বাংলাদেশি এসেছেন ঢাকায়। লাগেজে ছিল দুটি আইফোন। বাড়ি ফেরার পর লাগেজ খুলে দেখা গেল আইফোন দুটি নেই। পরে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ছুটে আসেন মাহবুব। আর্মড ফোর্স পুলিশ ব্যাটালিয়নের কর্তাদের খুলে বলেন ঘটনা। ঘটনা শুনে আর্মড ফোর্স পুলিশ পুরো বিমানবন্দর তন্ন তন্ন করতে খোঁজেন, মানে সিসিটিভি ফুটেজে পুরো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখলেন বিমানবন্দর থেকে আইফোন দুটি চুরি যায়নি। তাহলে কোত্থেকে চুরি হলো?

এবার আর্মড ফোর্স পুলিশ শুরু করলো অভিযান। ঘটনা শুরু থেকে মাহবুব বলছিলেন, যেটার পুরো ভিডিওচিত্র ধারণ করে প্রকাশ করে অ্যাভিয়েশন বাংলা। মাহবুব বলেন, তিনি দুটি আইফোন নিয়ে ফিরছিলেন দুবাই থেকে। এজন্য কাস্টমসে বলা হয় দুটো ফোনের বাইরে ফোন বহন করলে সেটার শুল্ক দিতে হয়। ঢাকায় বিমানবন্দরে ফোন দুটির জন্য কাস্টমসের কাছে শুল্কও দিয়েছিলেন তিনি। এরপরে তার এক বন্ধু কাস্টমসে আরেকটা জিনিসের জন্য শুল্ক দিতে পয়ারছিলেন, মাহবুবকে ডাকেন। অন্যদিকে বিমানবন্দরে মাহবুবের বাবা অপেক্ষা করছিলেন। তাই তার বাবার কাছে লাগেজ দিয়ে তাকে একটা সিএনজিতে পাঠিয়ে দেন বাড়িতে।

মাহবুব এবার বন্ধুর শুল্কের যে বিষয় ছিল, সেটা টাকা দিয়ে সম্পন্ন করেন। ততক্ষণে মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। এরপরে বাসায় আসেন মাহবুব। বাসায় এসে দেখেন তার লাগেজে আইফোন দুটি নেই। বিস্মিত মাহবুব। বিমানবন্দরে ছুটে আসেন আর্মড ফোর্স পুলিশের কাছে। আর্মড ফোর্স পুলিশ বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে দেখে ফোন দুটি বিমানবন্দর থেকে চুরি হয়নি।

আর্মড ফোর্স পুলিশ অভিযান শুরু করে। মাহবুবের বাবাকে নিয়ে লাগেজ বহনকারী সিএনজিকে সন্দেহর তালিকায় নেয়। কিন্তু মাহবুবের বাবা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, সিএনজিওয়ালা নেয়নি। অর্থাৎ সিএনজি চালক কোনোভাবেই নাকি ঐ দুটো আইফোন সরায়নি। কিন্তু আর্ম পুলিশ তবুও নিজেদের মতো কাজ শুরু করে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই সিএনজির রেজিস্ট্রেশন নম্বর উদ্ধার করে আর্মড ফোর্স পুলিশ। এরপর সিএনজির মালিককে খুঁজে বের করা হয়, তারপরে চালক। ততক্ষণে মাহবুবের বাবা একটা তথ্য দেন যে সিএনজি বাসার এক কিলোমিটার আগেই তাদের নামিয়ে দিয়েছিল। গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলে রিকশায় লাগেজসহ মাহবুবের বাবাকে তুলে দেওয়া হয়।

সিএনজি চালককে মগবাজার এলাকা থেকে আটক করলে সে সাথে দুটো আইফোন সরানোর কথা স্বীকার করে। পরে আইফোন দুটো উদ্ধার করা হয়। পরে ফোন দুটি পেয়ে মাহবুব সিএনজি চালককে মাফ করে দেন। যদিও মাফ করাটা আদতে ঠিক হয়েছে কি না নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G