বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের চমক দেখিয়েছেন মাগুরার ফেরদৌস

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২১, ২০১৯ সময়ঃ ৩:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১৫ অপরাহ্ণ

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বাংলাদেশে নতুন হলেও ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও চায়নাতে অনেক আগ থেকেই বেশ জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের সুবিধা হল অল্প জায়গাতে উচ্চ ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায় এবং এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ তুলনামূলকভাবে অন্য পদ্ধতি অপেক্ষা খরচ সাশ্রয়ী ও কম ব্যয়বহুল।

এই পদ্ধতিটা মূলত ইজরাইল থেকে উৎপত্তি হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে উহা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মতো অধিক জনসংখ্যা ও স্বল্প আয়তনের দেশে এই পদ্ধতিটা ছড়িয়ে পড়া খুবই জরুরী। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে যেমন বেকার সংখ্যা কমানোর যাবে তেমনি মূল্যবান ফসলি জমি ফসল উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যাবে।

মাগুরাতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন মাগুরার উদ্যোক্তা ফেরদৌস রেজা। তিনি মূলত ভারত থেকে এই পদ্ধতির বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণ কোর্স করে এসে গত তিনমাস আগে নিজ গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদরের আমুড়িয়া গ্রামে। প্রাথমিকভাবে একটি ১০ হাজার লিটার ট্যাংকিতে কৈ মাছ ও কার্প জাতীয় মাছের চাষ করছেন। তিনি আশা করেন শীতের পরেই এই ট্যাংকি থেকে ন্যূনতম ৫০০ কেজি মাছ উৎপাদিত হবে এবং এবং ৫০ হাজার টাকা মত লাভ করতে পারবেন।

এই পদ্ধতি শিক্ষিত বেকারদের জন্য খুবই উপযোগী, যদিও এই পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় মাছ চাষ করা যায়, তুলনামূলকভাবে খরচ সাশ্রয়ী তথাপি কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পদ্ধতিটা সম্বন্ধে খুব ভালোভাবে জানতে হবে, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকতে হবে । তিনি আরো জানান যদি কেউ আগ্রহী হয় তবে তিনি এই পদ্ধতি সম্বন্ধে প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।

ইতমধ্যে মাগুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা একাধিকবার এই খামার প্রদর্শন করেছেন। মাগুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা একেএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন “মাগুরা বায়োফ্লক মৎস্য খামারটি দেখে আমি সত্যি খুব আনন্দিত, এটি একটি সফল প্রকল্প বলা চলে। মাগুরার যেসব স্থানের পুকুর গুলোতে শুকনো মৌসুমে পানি থাকে না, সেইসব স্থানে এই পদ্ধতিটা একরকম আশার আলো দেখিয়েছে, তাছাড়া অনেক বেকার এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।”

প্রতি /এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G