যাদের রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে

প্রকাশঃ জুন ২৮, ২০১৫ সময়ঃ ২:০২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:০২ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

ramadanমুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় রোজা না রাখারও সুযোগ রয়েছে। তবে বেশি কষ্ট না হলে রোজা রাখাই উত্তম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোজা রাখা মাকরুহ। এ অবস্থায় রোজা না রেখে পরে কাজা করে নেবে। যে ব্যক্তি মুকিম অবস্থায় সাহরি খেয়ে সফর শুরু করেছে তার জন্য সফরের অজুহাতে রোজা ভাঙা জায়েজ নয়। ভাঙলে গোনাহগার হবে এবং শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৬)।

মুসাফির সফরের কারণে রোজা রাখেনি, কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আগেই মুকিম হয়ে গেছে। সেদিনের অবশিষ্ট সময় রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। আর পরে এ রোজার কাজা করে নেবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৬/২২১, হাদিস : ৯৪৩৬-৯৪৩৮)

রোজার কারণে যে রোগ বৃদ্ধি পায় কিংবা আরোগ্য লাভে বিলম্ব হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, সে রোগে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ। উল্লেখ্য যে, ওই আশঙ্কা বাস্তবসম্মত হওয়া যদি একেবারেই সুস্পষ্ট হয় তবে তো কথা নেই, নতুবা একজন অভিজ্ঞ দ্বীনদার চিকিৎসকের মতামতের প্রয়োজন হবে। (আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৯; আদদুররুল মুখতার ২/৪২২)

রোজা রাখার কারণে গর্ভবতী মহিলার নিজের কিংবা সন্তানের প্রাণহানি বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির প্রবল আশঙ্কা হলে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ। পরে এ রোজা কাজা করে নেবে। (আলমুহিতুল বুরহানি ৩/৩৫৯)

দুগ্ধ দানকারিনী মা রোজা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ওই সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়; ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা হয় তাহলে তিনি রোজা ভাঙতে পারবেন এবং পরে কাজা করে নেবেন। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২২) হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে ‘আল্লাহ তায়ালা মুসাফিরের জন্য রোজার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামাজ কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারিনীর জন্যও রোজার হুকুম শিথিল করেছেন। (জামে তিরমিযি ১/১৫২, হাদিস : ৭১৫)। এছাড়া, বার্ধক্যের কারণে রোজা রাখতে সক্ষম না হলে রোজা রাখবে না। এরূপ ব্যক্তির জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদয়া দেয়ার নির্দেশ এসেছে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৭)।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
20G