সমুদ্রে শান্তির পরশ

প্রকাশঃ মে ১৫, ২০১৫ সময়ঃ ৪:২৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

POTANGA 1”এ কোন কলমের কালি দিয়ে আঁকা নয়, নয় কোন রংতুলির জলফোঁটা, এ যেন হ্রদয়ের পরশ থেকে নিলীমায় ভেসে আসা কিছু অনুভুতির ছোঁয়া”

বিশুদ্ধ বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে কার না ভালো লাগে। সমুদ্রের সুরেলা ভাষা, রূপবৈচিত্র্য আর সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভিজতে কার না মন চায়, দিনের শেষে সূর্যের অস্তমিত দৃশ্য আর রাতের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, যেন এক রূপকথার রাজ্য। এ সুযোগটি শুধু মিলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে।

নগরজীবনের ব্যস্ততা, যানজট, কোলাহলময় কর্মব্যস্ততা ছেড়ে পাড়ি জমাই প্রকৃতির আপন হাতে সাজানো চট্টগ্রামে।

যান্ত্রিকতা ছেড়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সরস রূপে নিমগ্ন হয়ে মুক্তির স্বাদ আস্বাদনে বেরিয়ে পড়ি। দুপুর থেকে বিকেল, বিকেল থেকে সন্ধ্যা কেটেছে রাস্তায় পথ চলতে চলতে। প্রকৃতির অপরূপ সাগরে হারিয়ে বার বার খুঁজে ফিরছি নিজেকে।

সবুজে ঘেরা মৌন পাহাড়রাজি, প্রাণোচ্ছল সাগরের কল্লোল ধ্বনি, কর্ণফুলীর কলতান, হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিপুল বৈভবে ঐশ্বর্যশালী চট্টগ্রাম। এ নগরে প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের আকর্ষণে ছুটে এসেছেন এশিয়া-ইউরোপ-আফ্রিকার নাবিকরা, এসেছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটক।

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে চট্টগ্রাম নগরীর প্রিয় স্থান হচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।POTANGA 2

চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এ সমুদ্র সৈকত। এর কাছাকাছি রয়েছে শাহ আমানত বিমানবন্দর, শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকে এ সৈকতটি। এখানে দাঁড়িয়ে বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো দেখা যায়। সন্ধ্যা নামলে সমুদ্রের বুকে একটি আলো ঝলমলে শহরের মতো মনে হয়। পতেঙ্গা সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্যও অবর্ণনীয় সুন্দর।

দুই পাশে পাহাড়, এক পাশে নদী ও অন্য পাশে সাগরের গভীর জলরাশি। কর্ণফুলীর মোহনা, পৃথিবীর সুন্দরতম এক নদীর মোহনা। এ পাড়ে বিমানবন্দর আর নেভাল। আর ওপাড়ে দেয়াং পাহাড়, মরিয়ম আশ্রম আর মেরিন একাডেমি। ভ্রমণপিপাসুরা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে শুধু অপরূপ সাগর সঙ্গম দেখে মুগ্ধই হন না, আরও শুনতে পান প্রাণোচ্ছল সাগরের কলকল ধ্বনি, নীল জলরাশির উত্তাল ঢেউ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পতাকাবাহী নোঙর করা জাহাজের সারি নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে এরকম সৌন্দর্যে ভরপুর দ্বিতীয় কোনো নদীর মোহনা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

ধীরে ধীরে সোনালী সূর্য সমুদ্রের বুকে বিলীন হয়ে যায় চারদিকে রক্তিম আভা ছড়িয়ে দিয়ে। ক্রমেই চারদিকে আঁধার ঘনীভূত হতে থাকে। দর্শনার্থীরা তৃপ্তি আর প্রাপ্তির সুখে উল্লসিত হয়ে ঘরে ফেরেন। রাতের চোখে ঘুম নেমে আসে। আবার রাতের কোলে আসমানে চাঁদ ঘুমায়। অনিন্দ্য সুন্দর রাতের এ নীরব মাধুর্য দেখে সৌন্দর্য পিপাসুদের চোখেও এক সময় ঘুম নেমে আসে। আবার রাতের প্রকৃতির এ নীরব সৌন্দর্য কারও চোখের ঘুম কেড়ে নেয়।

 
প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
20G