এশিয়ার বিপর্যয় হবে জলবায়ু পরিবর্তনে: এডিবি

প্রকাশঃ জুলাই ১৬, ২০১৭ সময়ঃ ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

অপ্রতিহত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে।

‘ঝুঁকিতে এ অঞ্চল : এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনে মানবিক ডাইমেনশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং পোস্টড্যাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ (পিআইকে) যৌথ উদ্যোগে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনে এই অঞ্চলের দেশগুলোতে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি হ্রাস, বর্তমান উন্নয়ন ধারা বাধাগ্রস্ত এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাবে। বেড়ে যাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

এতে বলা হয়, এশীয় অঞ্চলে বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে প্রতি বছরে ৩৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ ধরনের মৃত্যুর তালিকায় চীন, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে তাপ প্রবাহে বৃদ্ধ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ৫২ হাজার উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। বসতি সমস্যা, ব্যাপক অভিবাসন, বিশেষ করে নগর এলাকায় বৃদ্ধি পাবে। ফলে নগরীতে জনসংখ্যার চাপ বাড়বে এবং সেবামূলক খাতগুলোতে চাপ বাড়বে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও টাইফুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এটা বৃদ্ধির পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে। সেইসঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বৃষ্টিপাত ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। অঞ্চলের উপকূল ও নিচু এলাকায় বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।

এ অঞ্চলের ২৫টি নগরীর মধ্যে ১৯টিতে সমুদ্রের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে ফিলিপাইনেই সাতটি উপকূলীয় বন্যা ও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে ইন্দোনেশিয়া। ২১০০ সাল পর্যন্ত এখানে প্রতিবছরে ৫৯ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, বছরে নদী প্লাবিত এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে দেশের ২০ থেকে ২৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। বিগত ২০ বছরের মধ্যে তিন বছর যথাক্রমে ১৯৮৭, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে বড় বন্যা হয়। এ সময় দেশের ৬০ ভাগের অধিক এলাকা প্লাবিত হয়।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তিতে উল্লেখিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।

এতে এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির উন্নয়ন গতিধারা ধরে রাখতে এবং অতি দরিদ্র মানুষকে রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথাও বলা হয়।

এছাড়াও প্রতিবেদনে টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ বন্ধে সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর তাগিদ দেওয়া হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G