কর্পোরেট সব পদই বিদেশিদের দখলে !

প্রকাশঃ মার্চ ৪, ২০১৫ সময়ঃ ৯:৫১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:২৫ অপরাহ্ণ

ইফতেখার রাজু, প্রতিক্ষণ ডট কম.

untitled-13_95142দেশে যোগ্যরা থাকার পরও মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর বড় পদে বিদেশিরা চাকরি করছেন।

আর এই বিদেশি কর্তারা বাংলাদেশে টানা তিন বছর পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পান। সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে আবার নিজ দেশে চলে যান।

এভাবে দেশের বাজারে অর্থ ও প্রশাসন সংক্রান্ত পদগুলো বিদেশিদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আসিফ আকবর।

বুধবার (৪ মার্চ) আসিফ নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের তিন বছর পর্যন্ত কর অবকাশ (TAX FREE) দেয়া হয় । এই সূযোগ কাজে লাগিয়ে বেশির ভাগ দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সি.ই.ও (C.E.O) পদ থেকে শুরু করে অর্থ ও প্রশাসন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন পদগুলো বিদেশিরা দাবড়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামীনফোন, রবি, এয়ারটেল, কিংবা বাংলালিংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা বিদেশি নাগরিক। কর অবকাশ সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি তিন বছর তারা এনজয় করে শুধু নিজের জন্য নয়!!!

 লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এসব কোম্পানীর সি.ই.ও সবসময় বিদেশি হয় এবং তারা তিন বছরের বেশি এ দেশে থাকেনা, নতুন কেউ আসে। কর্পোরেট সেক্টরের নামে বিদেশিরা দাবড়াচ্ছে বাংলাদেশি চাকুরেদের।

ফেসবুকের ওই পোস্টে নুতন প্রজন্মের জয়োগান করে আসিফ লিখেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের ছেলেরা ইয়াহু, গুগল, নাসা, মোবিলিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টপ পজিশনে আছে। এদের যোগ্যতাও আছে বাংলাদেশের জিপ’ রবি’র সি.ই.ও হবার মত, কিন্তু দেয়া হবেনা ।

আর তিনি এটাকে একটা খেলা উল্লেখ করে বলেন, টেলকো গুলো On Mobile নামক বিষধর হায় হায় বিদেশি কোম্পানীকে জোর পূর্বক বাংলাদেশে বসিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গীত জগত এই On Mobile এর কাছে জিম্মী।

522c78b32c78a-Logo

দেশের সব শিল্পীরা এখনো একতাবদ্ধ আছে উল্লেখ করে তিনি লিখেন, বাংলাদেশের সব শিল্পীরা এখনো হিজড়া হয়ে যায়নি। মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রায়, ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে।

বিদেশিরা তো পালিয়ে বাঁচবে, তাদের বাংলাদেশি দোসর মীরজাফর জগৎ শেঠ দের কি হবে? দিন গননা শুরু কর।

প্রসংগত, এর আগে আসিফ ফেসবুকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ফোন কোম্পানী বাংলালিংকের বিরুদ্ধে শিল্পীদের গান বিভিন্ন ভাবে বিনা অনুমতিতে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।নিজের ফেসবুক ওয়ালে করা ওই সম্পর্কিত পোষ্টের পর ফেসবুকে আলোচনার ঝড় উঠে।

সংগীত শিল্পী আসিফের মতে, বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার, শিল্পীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কোম্পানীটি বছরের পর বছর শত কোটি টাকা গিলে ফেলেছে ।

নিজের গানের উদ্ধৃতি দিয়ে আসিফ লিখেন,‘ বাংলালিংক শুধু আমার গানই ব্যবহার করেছে ৭৬৮ টি । নানান প্যাকেজ দিয়ে তরুণ প্রজন্মের একটা অংশকে রাত জাগিয়ে রেখেছে। তৈরী করেছে একটি  ঘুমন্ত  প্রজন্ম।’

তার ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, ‘এজেন্ডাধারী পরিবেশবাদীরা নিশ্চুপ।’

গণমাধ্যমকে দুষিয়ে তিনি অভিযোগ করেন,‘ পত্রিকা, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের নেশা, এরা কোনোদিন লিখবেনা, দেখবেনা। এরা সবাই বাংলালিংকের বাম পকেটে।’

বাংলালিংককে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, দেখা হবে আদালতে খুব শীঘ্রই । পকেটস্থ মিডিয়াও তোমাদের বাঁচাতে পারবেনা। বিদেশী বেনিয়ারা এখন রাষ্ট্র দখল করতে আসেনি। এসেছে অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য খাওয়ার জন্যে।

প্রতিক্ষণ/এডি/ই রা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G