চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিন্নধর্মী প্রচারণায় নজর কাড়ছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী মীর সুমাইয়া আহমেদ লায়লা। সদস্য পদপ্রার্থী এই শিক্ষার্থী প্রচারণায় ভোট চেয়েছেন চারটি ভাষায়—বাংলা, চাকমা, মারমা ও চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায়।
লায়লার এই উদ্যোগ ক্যাম্পাসজুড়ে সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক জায়গা যেখানে পাহাড়ি ও সমতলের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে থাকে। আমি চাইনি কেউ আমার প্রচারণার ভাষা বুঝতে না পারে। তাই চার ভাষায় লিখেছি, যেন সবাই অন্তর্ভুক্ত বোধ করে।”
লায়লা জানান, প্রচারপত্রে চাকমা ও মারমা ভাষায় শুভেচ্ছাবার্তা, চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় অভ্যর্থনা এবং বাংলায় মূল বক্তব্য যুক্ত করেছেন।
“বাংলা আমাদের সবার মাতৃভাষা—যাতে বাকিগুলো না বুঝলেও অন্তত এটি সবাই বুঝতে পারে,” বলেন তিনি।
নির্বাচিত হলে কী করবেন—জানাতে লায়লা বলেন, “নির্বাহী সদস্যদের সরাসরি দায়িত্ব সীমিত। তবু আমি ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, edu mail, ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ওয়াশরুম ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে চাই। সম্পাদকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব বিষয়ে উন্নয়ন আনবো।”
তিনি আরও বলেন,“আমি চাই ভিপি, জিএস, এজিএস—সবাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করুক। চাকসু মানে শুধু রাজনীতি নয়, বরং সবার জন্য কাজ করা।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে লায়লার চার ভাষায় প্রচারপত্র এখন অন্তর্ভুক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। তার উদ্যোগ যেন মনে করিয়ে দেয়—ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং বোঝাপড়া ও সম্মানের সেতুবন্ধনও হতে পারে।