eagle

শিকারি পাখি ঈগলকে কাজে লাগিয়ে  জঙ্গি ধরার ফাঁদ পাতছে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী। প্রযুক্তিতে জঙ্গিরা এখন অনেকটাই এগিয়ে। তাই তাদের টেক্কা দিতে অভিনব এই পন্থার উদ্ভাবন করেছে ফরাসি সেনাবাহিনী। জঙ্গি ড্রোন দেখলেই এ বার ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে সোনালি ইগলের দল। উড়ন্ত ড্রোনকে পায়ে খিমচে ধরে তারা নিয়ে যাবে নিজের এলাকায়। সে ভাবেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশ কয়েক বার সন্ত্রাসের কবলে পড়েছে ফ্রান্স। গত বছর গোড়ার দিকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের রাজপ্রাসাদের উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে সন্দেহজনক ড্রোন। সে সবে রাশ টানতেই নামানো হচ্ছে ইগল বাহিনীকে। বাহিনীর সদস্য এখন চার জন। বহরে তা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রশিক্ষকরা।

দার্তানিয়, আথোস, পোর্থোস, আরামিস, এই হলো সোনালি চার ইগল। আলেকজান্দার দুমার ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’-এর তিন চরিত্রের (আথোস, পোর্থোস, আরামিস) নামে তিন ইগলের নাম। চতুর্থ ইগল দার্তানিয়, থ্রি মাস্কেটিয়ার্স-এর মুখ্য চরিত্র। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে মঁ দ্য মারসঁ সেনা ঘাঁটি। সেখানেই জোর কদমে শিক্ষা চলেছে ওদের।

প্রতিরক্ষা খাতে বিভিন্ন দেশের যেখানে প্রচুর অর্থব্যয় হয়, সে তুলনায় ইগল বাহিনী মোটেই তেমন ব্যয়সাপেক্ষ নয়। এত দিন ধরে প্রশিক্ষণে ইগলদের ড্রোন ধরার কায়দা দেখে মুগ্ধ সবাই। এ মাসের মধ্যেই পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে ওরা। সেনা ঘাঁটির একটি টাওয়ার থেকে উড়ে মাঠে নেমে ড্রোন লক্ষ্য করে এগিয়ে অক্লেশে তাকে পায়ে তুলে চলে যাচ্ছে দার্তানিয়। ভিডিও-য় ভাইরাল হয়েছে সে দৃশ্য।

কিন্তু ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েও তো কব্জা করা যায়। এত হাঙ্গামার কী দরকার! সেনাকর্তারা জানাচ্ছেন, কোনও জনবহুল এলাকা থেকে ড্রোন গুলি করে নামাতে গেলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া, তথ্য নষ্টেরও সম্ভাবনা থাকে। ইগলের থাবায় যে ভাবে ড্রোন পাওয়া যাবে, তাতে এমন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।

গত নভেম্বরে ইগলের ওই চারটি ডিম ফুটে ছানা বার হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে সেগুলিকে ড্রোনের উপরে রেখে দিয়েছিল ফরাসি সেনাবাহিনী। জন্মের পরেও কিছু দিন সেখানেই ছিল তারা। সেনাবাহিনী এখন ইগল বাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচ তৈরির তোড়জোড় করছে।