WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
ক্রীড়া ডেস্ক
ফিফা বিশ্বকাপে বড় দলের তকমা নিয়ে মাঠে নেমে অন্য বড় দল গুলোর মতোই একই পথে হেটে পুর্তগাল। ৬১ নম্বর তালিকায় থাকা ঘানার বিপক্ষে ফিফার ৯ নম্বর দল রোনালদোর দল প্রথমার্ধ গোল আদায়ে ব্যর্থ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের আসল চেহারাটা দেখায় পুর্তগাল। কষ্ট হলেও হারের বদলে ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আর সঙ্গে রোনালদোর বিশ্বকাপের রেকর্ড তো ছিলই। দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদো পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে গেলে বিশ্বকাপে ইতিহাস রচনা করলেন। ৫ বিশ্বকাপে একটি করে ৫টি গোলের প্রথম ফুটবলার রোনালদো।
রোনালদো মানেই তো বিশেষ কিছু, ঘানার ডিফেন্স বিশেষ মার্কিং ভেঙ্গে গোল করা রোনালদোর জন্য সত্যিই কঠিন কাজ ছিল। ম্যাচে বিশেষ ভাবে পাহাড়ায় রাখ হয় রোনালদোকে। তারপরও চেষ্টা ছিল সিআর সেভেন খ্যাত এই পুর্তগাল স্ট্রাইকারের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে রোনালদো মাথা দিয়ে হেড নিলেও বল জাল খুঁজে পায়নি।
৩১ মিনিটে ডান দিক থেকে বাড়ানো বল দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফাঁকায় কিক নিলে বল গোলরক্ষকের আটকানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু গোলটি রেফারি অফ সাইড ঘোষণা দিলেন। ম্যাচের ৩৬ মিনিট আর ৩৭ মিনিট পর পর দুই কর্নার পেয়ে যায় ঘানা, কিন্তু পুর্তগালের ডিফেন্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ঘানার আক্রমণ ভাগের কেউ।
প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট ছাড়াও অতিরিক্ত সময়ে ঘানার রক্ষণ দেয়ালে ফাঁটল ধরাতে পারেনি রোনালদো বাহিনী। যদি অধিকাংশ সময় বল তাদেরই দখলে ছিল। গোল শূণ্য থেকেই রোনালদোরা প্রথমার্ধ শেষ করে।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘানা উল্টো চেপে ধরে পুর্তগালকে। কয়েক বারই আক্রমণে যায়, কিন্তু ভাগ্য খারাপই বলায় ঘানার। অল্পের জন্য দুইটি গোল থেকে বঞ্চিত হল। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও রোনালদো এতেটাই বেশি নজরে ছিলেন যে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোর পোষ্টে হানা দেবার সুযোগটা কমই ছিল।
পুর্তগাল যতোই গোলের জন্য আক্রমণ বাড়াছিল, ঘানার ফুটবলাররা ততোই বেশি ফাউল করতে শুরু করে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাই একাধিক হলুদ কার্ডও দেখে ফেলে ঘানা। বড় দল হয়েও পুর্তগাল দ্বিতীয়ার্ধে এমন কোন আক্রমণ রচনা করতে পারেনি, যা থেকে গোল আদায় হতে পারে।
কিন্তু কপাল খুলে যায় পুর্তগালের। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ঘানার ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রোনালদো, তাকে ঘানার ডিফেন্সের মোহাম্মদ সেলিসু অবৈধ ভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে রেফারি পেনােল্টির ঘোষণা দিতে দ্বিতীয় বার ভাবলেন না। আর কিক নিতে এসে বিশ্বকাপে ইতিহাস রচনা করতে গোল-টাও মিস করলেন না রোনালদো (১-০)।
এই আনন্দ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি, ম্যাচের ৭২ মিনিটেব বাম দিক থেকে কুদুস মোহাম্মদের বাড়ানো বলে পুর্তগালের দুই ডিফেন্স-র মাঝথেকেই বলে পা ছুইয়ে দিলেন ১০ নম্বর জার্সিধারীি এ্যান্ডি এ্যাউই, বল সোজা জালে। পুরো স্টেডিয়াম স্তদ্ধ (১-১)। কিন্তু নাটক তো আরো ছিল, ৫ মিনিট পরই ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে বাড়ানো বল একক ভাবে টেনে নিয়ে ১৫ নম্বর জার্সিধারী রাফের রেও বাম প্রান্ত দিয়ে বলে কিক নিলেন। গোলরক্ষকের হাত ফাঁকি দিয়ে বল সোজা জালে (৩-১)।
তবে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে রোনালদো নিজের গোলের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ হেলাই হারারেন। মধ্য মাঠ থেকে কাউন্টার এ্যাটাকে রোনালদো একক ভাবে বল নিয়ে এগিয়ে গেলে, গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠাতে গিয়েও ব্যথ্য হলেন। তা না হলে পুর্তগাল ৩-২ না হয়ে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে রোনালদো মাঠ থেকে উঠে গেলেন। কিন্তু এরপরই আবারো গোল হজম করল পুর্তগাল। ঘানার ১১ নম্বর জার্সিধারী জটলা থেকে কিক নিলে ঘানা দ্বিতীয় গোলের স্বাদ পায়। এরপরই দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা, হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। রেফারির হস্তক্ষেপে দুই দল থেমে যায়। শেষ দিকে উত্তেজনার মধ্যেই ঘানা গোল পরিশোধের চেষ্টা বিফল করে দেয় পুর্তগাল।
সূত্র : ফিফা