ববিতার বিষন্নতা
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
একমাত্র ছেলে অনিক কানাডায় পড়াশুনা করতে গিয়েছে সপ্তাহ খানেক হলো। তাই ববিতার মনটা খারাপ। ছেলের সাথে তিনি নিজেও ছ’মাস কানাডায় ছিলেন। এখন দেশে একা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যার অবস্থান প্রায় অদ্বিতীয় সেই ববিতার সাথে একান্ত সাক্ষাতকারটি এখানে তুলে দেয়া হলোঃ
কেমন আছ্ন?
ববিতাঃ ভালো আছি। তবে মনটা ভালো নেই।
মন ভালো নেই কেন?
ববিতাঃ অনেকদিন দেশে ছিলামনা। ছেলে কানাডায় পড়াশোনা করে। ওর কাছে গিয়েছিলাম। ছয় মাসের মত ওর সাথে ছিলাম। আমার সাথেই ও দেশে এসেছিলো। ওকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালাম। চলে যাওয়ায় মনটা খুব খারাপ।
৬ মাস কানাডায় কি করলেন?
ববিতাঃ প্রথমে কানাডার একটি কম্পিউটার স্কুলে ভর্তি হয়েছি। কম্পিউটার সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। এখন ছেলের সাথে সরাসরি কথা বলি। খুব ভালো লাগে।
কোথায় কোথায় ঘুরলেন?
ববিতাঃ কানাডা থেকে আমেরিকা ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার অনেক বন্ধু থাকে। কেউ লস এঞ্জেলেস, কেউ লাস ভেগাস, কেউ কেউ থাকে ভার্জিনিয়াতে। হোয়াইট হাউজও দেখতে গিয়েছিলাম যেখান থেকে সারা দুনিয়া শাসিত হয়।
দেশে এসে কাজ শুরু করেছেন?
ববিতাঃ এখনও করিনি। তবে দু-তিনটি ছবির পরিচালকদের সাথে এরই মধ্যে কথা চুড়ান্ত হয়েছে। পরে সীমারেখা নামে একটি ছবির কাজ শুরু করব। এই ছবির মধ্যে দিয়েই অনেক দিন পর আমি আর ফারুক ভাই একসাথে কাজ করব।
এখন কি নিয়ে ব্যস্ত?
ববিতাঃ গত সপ্তাহে মুক্তি পেল আহমেদ নাসির পরিচালিত ‘মায়ের জন্য পাগল’ ছবিটি। আরো নতুন কিছু ছবিতে কাজ করার কথা আছে।
মায়ের জন্য পাগল ছবিটি নিয়ে কিছু বলবেন কি?
ববিতাঃ ছবিটিতে আমার দুই ছেলে। মারুফ ও ইমন। ওরা আমার জন্য যেমন পাগল থাকে তেমনি আবার স্বামী সোহেল রানা পাগল থাকে তার মায়ের জন্য। পারিবারিক দ্বন্দ আর ভালোবাসা নিয়েই ছবির কাহিনী। এর চাইতে আ বেশি কিছু বলবোনা। তাহলে ছবির মজা নষ্ট হয়ে যাবে।
আপনারা তিনবোন এবার একসংগে ঈদ করলেন?
ববিতাঃ হ্যাঁ। কানাডায় এবার একসংগে অনেকদিন পর খুব মজা করে ঈদ করলাম। ব্যস্ততার কারনে আজকাল তেমন মজাই করা হয়না।
ছবিতে কিভাবে এলেন?
ববিতাঃ সেটা খুব মজার ব্যাপার। আমরা খুব রক্ষনশীল পরিবারের ছিলাম। গেন্ডারিয়ায় থাকতাম। আমার দুলাভাই জহির রায়হানই আমাকে এক রকম জোর করেই ছবিতে এনেছিলেন।
ছবি পরিচালনার ইচ্ছে আছে?
ববিতাঃ মোটেও নেই। ওটা আমার দ্বারা হবেনা। অনেক কঠিন মনে হয়।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
ববিতাঃ ইচ্ছে আছে ছেলে অনিক এর পড়াশুনা শেষ হলে একসংগে দিন কাটাবো। একা একা ভালো লাগেনা। ও আমার একমাত্র সম্বল। ওকে নিয়েই বাকী জীবন সুখে-দুঃখে কাটিয়ে দিতে চাই।
নায়িকা না হলে কি হতেন?
ববিতাঃ নায়িকা না হলে হয়তোবা ডাক্তার হতাম।
আপনার পুরো নাম কি?
ববিতাঃ ফরিদা আক্তার ববিতা।
কমিউনিটির পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ববিতাঃ আমার সকল পাঠক এবং শুভাকাংখীদের জন্য রইলো ভালোবাসা। দোয়া করবেন যেন ভালো থাকি।
[সূত্রঃকমিউনিটি,আর্কাইভ থেকে]