ভিন্নধর্মী উপহার

প্রকাশঃ মার্চ ১, ২০১৫ সময়ঃ ৪:০০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:০০ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

99221_92637_12748

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাখি পোষার রীতি অনেক প্রাচীন। অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে খাঁচায় ভর্তি পাখি উপহার দেন। কখনও সেটা ময়না হতে পারে আবার কখনও সেটা টিয়া হতে পারে। তবে হাল আমলে এখন বিদেশি বিভিন্ন পাখি উপহার দেয়ার চল চলছে। কিন্তু একমাত্র খাঁচার পাখিটিই জানে মুক্ত আকাশের পাখিকে খাঁচায় ভরা হলে কেমন লাগে। কিন্তু এমন যদি শোনা যায় যে, পাখি মানুষকে উপহার দিচ্ছে তাহলে কেমন হবে। তাও আবার একবার দুবার নয়, ক্রমাগত একটি পাখি একটি শিশুকে বিভিন্ন উপহার দিয়ে আসছে।

অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে। আট বছর বয়সী গ্যাবি ম্যানকে নিয়ম করে একটি কাক বিভিন্ন উপহার দিয়ে যায়। যেহেতু কাক মানুষ নয়, তাই তার উপহারগুলোও হয়েছে ভিন্ন। সাধারণ নাটবল্টু থেকে শুরু করে গোসলের সাবান পর্যন্ত আছে এই উপহারের তালিকায়। গ্যাবির মোটামুটি একটি ঝুড়ি ভর্তি হয়ে গেছে কাকের দেয়া উপহারে।

বয়সে বাচ্চা হলেও বুদ্ধিতে গ্যাবিও কম যায় না। কাকটি কখন, কয়টার সময় তাকে উপহার দিয়েছে সবকিছু সুন্দরভাবে তালিকা করে রেখেছে গ্যাবি। আর প্রতিটি জিনিসই যত্নসহকারে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছে সে। ‘যতটা সম্ভব উপহারগুলোকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি আমি। অন্যরা যাতে এগুলো নষ্ট না করে ফেলতে পারে তাই কাউকে দেখানোর সময় আমি সামনে থাকি। এমনকি আমার ছোটো ভাইয়ের ক্ষেত্রেও।’

মূলত ২০১১ সাল থেকে গ্যাবির সঙ্গে ওই কাকের সখ্যতা শুরু হয়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। সেই বয়সেই গ্যাবি তার খাবার থেকে বিভিন্ন অংশ পাখিদের উদ্দেশ্যে দিতো। এভাবেই ধীরে ধীরে কাকেদের সঙ্গে এক অবর্ননীয় সখ্যতা গড়ে উঠে। গ্যাবির টিফিনে দেয়া নাস্তার বেশিরভাগই যেত পাখিদের পেটে। এতে অবশ্য কিছু মনে করতেন না গ্যাবির মা লিসা। তার ভাষ্য মতে, ‘আমার ভালো লাগতো যে গ্যাবি পাখিদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাচ্ছে। আমি নিজে পাখি সম্পর্কে অত কিছু জানি না। কিন্তু গ্যাবির সঙ্গে পাখিদের সম্পর্ক অদ্ভুত।’

২০১৩ সাল থেকে লিসা এবং গ্যাবি নিয়ম করে পাখিদের খাবার দিতে শুরু করে। প্রতিদিন সকালে বাড়ির পেছনের অংশে পাখিদের জন্য স্বাদু পানি এবং খাবার দেয় মা-মেয়ে। পাখিদের পাশাপাশি কয়েকটি কুকুরও প্রতিদিন খাবার খায় এখানে। খাবার দেয়ার সময় কাকেরা সুন্দর নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারের উপর বসে থাকে, খাবার দেয়া শেষ হলে ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে কাকেরা খাবার খেতে আসে।

প্রতিক্ষণ/এডি/আমান,,সূত্র:ওয়েবসাইট

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G