রক্তকরবী থেকেই সিনেমার গল্পের উৎপত্তি:রুবাইয়াত হোসেন

প্রকাশঃ মার্চ ৫, ২০১৫ সময়ঃ ২:২৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:২৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

রুবাইয়াত হোসেন
রুবাইয়াত হোসেন

মানুষ নাকি তার স্বপ্নের সমান বড়। হয়তো সেজন্যই কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখেন, বড় মানুষ হবেন বলে। সে ক্ষেত্রে যারা শিল্পকে ধারণ করেন, তারা শিল্পের প্রসারে কাজ করে যান। তাদের স্বপ্নরথ এগিয়ে চলে নব নব শিল্প সৃষ্টির মাধ্যমে। রুবাইয়াত হোসেনও তেমনি একজন শিল্পসারথি। যিনি তার নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ব-দরবারে উপস্থাপনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই অভিযাত্রার দ্বিতীয় প্রয়াস সিনেমা আন্ডার কনস্ট্রাকশন।

মেহেরজান খ্যাত নির্মাতা রুবাইয়াত ইতিমধ্যে এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিনেমাটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি, রোববার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমার প্রচারণাও শুরু করেছেন এ নির্মাতা। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের মাঝামাঝি দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোয় মুক্তি পাওয়ার কথা। সম্প্রতি এ নির্মাতা দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ চলচ্চিত্রের নির্মাণ, বিষয়বস্তু, প্রত্যাশা এবং চলচ্চিত্র ঘিরে তার ভাবনার কথা বলেছেন।আজ তাই সাক্ষাৎকারের বিশেষ অতিথি নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন।

**: ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ সিনেমার শুরুর গল্পটা জানতে চাই।
রুবাইয়াত : এই সিনেমার অনুপ্রেরণা এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী নাটক থেকে। এটা আমার অনেক দিনের স্বপ্ন। কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সর্বশেষ নাটক এটি। তিনি নাটকটি রচনা করেন ১৯২৬ সালে। সে সময় উপমহাদেশে ক্যাপিটালিজমের শুরু। সবাই সেটা গ্রহণও করে।

তবে রবীন্দ্রনাথ এ নাটকে দেখিয়েছেন মানুষের গায়ে একটা নাম্বার লাগানো। সেখানে সবাই একজনের হুকুমে চলে। সে সময় পাশ্চাত্যের খুবই সমালোচিত হয় এটি। এমন নানা কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ নাটকটি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। কবির এই ভাবনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রক্তকরবীকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিয়ে এই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।

**: এই সিনেমায় আপনি কী তুলে ধরতে চেয়েছেন?
রুবাইয়াত : রক্তকরবী থেকেই এ সিনেমার গল্পের উৎপত্তি। এ ছাড়া এ সিনেমায় পোশাক শিল্প উঠে এসেছে। গত কয়েক বছরে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে গার্মেন্টস ক্ষেত্রে। যেমন- স্মার্ট ফ্যাশনে আগুনের ভয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে ছয়-সাতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তাজরিন গার্মেন্টসে ১০০ জনের ওপরে শ্রমিক পুড়ে মারা গেল। সর্বশেষ রানা প্লাজায় হাজার মানুষের মৃত্যু। সবগুলো ঘটনা আমার ভিতরে নাড়া দেয়। তখন আমি ভাবলাম, কী করে এই ঘটনাগুলো সিনেমার গল্পের সঙ্গে রিলেট করা যায়।

এ সিনেমার প্রধান যে চরিত্র, সে চায় রক্তকরবীকে নতুনভাবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মঞ্চে নিয়ে আসতে। তখনই গার্মেন্টেসের সঙ্গে তুলনা চলে আসে। আর এ চরিত্র একজন মধ্যবিত্ত ঘরের নারীর। এ সিনেমায় দেখিয়েছি- মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষের কাছে এই গার্মেন্টেসের ভয়াবহতাগুলো শেষ পর্যন্ত টেলিভিশনের নিউজ হয়েই থাকে, যা কোনোভাবে ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে না।

দেখা যায়, এ বিষয় নিয়ে হয়তো একজন মঞ্চকর্মী নাটক করে। এর বেশি তার আর কিছুই করার থাকে না। সে তার জীবদ্দশায় এ ধরনের নির্যাতিত শ্রমিক শ্রেণির জন্য আর কিছুই করতে পারে না। তবে এসব নিয়ে তার ভিতরেও এক ধরনের কান্না থাকে। তা ছাড়া এটি রক্তকরবীর ব্যাকগ্রাউন্ডে হলেও আমি বাস্তবতাকে দেখাতে চেয়েছি। এখন আমাদের সম্পর্কগুলো দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে। আমরা ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছি। কমিউনিটিগুলো ভেঙে যাচ্ছে। তা ছাড়া মানুষের সম্পর্কগুলোর মধ্যে অনেকগুলো স্তর থাকে, সেটা বলার চেষ্টা করেছি।

এই সিনেমায় মা যে চরিত্রটি, তিনি খুব রক্ষণশীল। তিনি বোরখা পরেন। তার বাসায় তাবলিগ জামাতের প্রতিনিধি এসে বলে, আপনার মেয়ে নাটক করে। তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মা তার মেয়েকে বলেন, নাটক করা তো হারাম। আবার মেয়েকে দেখিয়েছি, সে প্রগ্রেসিভ। আবার আমরা দেখতে পাব- এক পর্যায়ে মা-মেয়ের আলাপচারিতার মেয়ে বলে, বিয়ে করা আর বাচ্চা পয়দা করা ছাড়া মেয়েদের আর কোনো কাজ নাই! এর উত্তরে মা বলেন, ‘আমি কিন্তু স্বামীর টাকায় চলি না। আমার নিজস্ব রোজগার আছে।’

দেখা যায়, ‘মা চরিত্র’টি নিজেই কাপড় সেলাই করে চলেন। অন্যদিকে মেয়েটার স্বামী ধনী প্রকৃতির। তখন মনে হয়, মেয়ের চেয়ে মা বেশি স্বাধীন। আবার এখানে গৃহকর্মীর চরিত্রে দেখা যাবে ময়নাকে। ময়না নিজে সংসার করতে চায় বলে একসময় রয়ার বাসা থেকে চলে যাচ্ছে। তবে সেখানে গিয়ে সে আরেকটা খাঁচায় বন্দি হয়ে যাচ্ছে।

আসলে সবাই কোনো-না-কোনোভাবে খাঁচার মধ্যে বন্দি। প্রত্যেকেই তার নিজের অবস্থানে অসহায়। এই গল্পে মূলে আছেন চার নারী। যারা তাদের কাজটাকেই জীবনের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তারা সবাই আলাদা আলাদাভাবে নিজের কাজ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আসলে সে নিজেকে নির্মাণ করছে। আর এই শহরটাও তো আন্ডার কনস্ট্রাকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

**: সিনেমার গল্প জানার পরে মনে হচ্ছে- এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গল্প। সেই দিক থেকে দর্শক কী এ সিনেমা থেকে নিজেকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবেন?
রুবায়াত : আপনি ঠিকই বলেছেন। এই ছবিটা যারা দেখবেন তারা নিজেদের ঢাকা শহরকেও দেখতে পাবেন। খুব সাধারণভাবে গল্পটা বলার চেষ্টা করেছি। এটি একটি গল্পনির্ভর, চরিত্রনির্ভর সিনেমা। এর শেষটাও চলমান। এখানে গল্পগুলোকে একেবারে শেষ করে হয়নি। আমি বলতে চাই, এই সিনেমার নাম এবং এই শহরের বর্তমান রূপ থেকে ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ নামটা এসেছে।

**: এই সিনেমাতে ভারতীয় অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন। সেটা কী কারণে?
রুবাইয়াত : এই সিনেমার শুরুর দিকে দেশের শিল্পীদের নিয়েই করতে চেয়েছিলাম। সে ক্ষেত্রে প্রধান চরিত্রটিতে কাজ করার কথা ছিল ঋতু সাত্তারের। তবে সিনেমাটির শুটিং শুরু ঠিক আগে ঋতু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। সে সময় বাধ্য হয়েই তাকে ছাড়াই কাজটি করতে হয়। সে সময় আমি বাংলাদেশে তিনটি অডিশন করি কিন্তু কাউকেই মনের মতো মনে হয়নি।

আর আগে থেকেই রাহুল বোসের সঙ্গে আমার ভিন্ন ধরনের একটি কাজ করার কথা ছিল। তবে তা ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায়। সিনেমাটির নাম ডায়েরি অব অা হাউজ ওয়াইফ। সিনেমাটির জন্য প্রযোজক খুঁজছিলাম। যা-ই হোক, সেই সূত্রে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমি তার সঙ্গে আন্ডার কনস্ট্রাকশন সিনেমার গল্প শেয়ার করলে তিনি নিজে থেকেই এ সিনেমাতে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। এই ছবিতে তিনি একজন কিউরেটরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

তখন তিনি আমাকে প্রস্তাব করেন, শাহানা নামের একজন শিল্পী আছে, তাকে দিয়ে কাজটি করানো যায় কি না। তার কথামতোই আমি শাহানার সঙ্গে কথা বলি। তিনি সিনেমাটি করার জন্য দারুণ আগ্রহ দেখান। এমনকি তার চরিত্রটি চূড়ান্ত হওয়ার পরে এখান থেকে আমরা তাকে সংলাপগুলো রেকর্ড করে পাঠাই। সেটা শুনে শুনে আমাদের মতো করে কথা বলা রপ্ত করেছে। এমনকি তার চেহারা-গেটআপেও ঢাকার মেয়েদের মতো করে নিজেকে তৈরি করেন।

আমার এ সিনেমার আমি চেয়েছি বাস্তবের একটি চরিত্র, যার চেহারা বোল্ড হবে। আবার এ শিল্পীকে বেশিরভাগ সময় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করতে হয়েছে। কখনো তাকে দেখতে খুব বাজেও লাগতে পারে। যেমন সে ঘুম থেকে উঠছে বা সে কান্না করছে। সিনেমার খুব বেশি শিল্পীরা এ ধরনের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহ দেখান না। বিশেষ করে নারীরা। বেশিরভাগ নায়িকাই সুন্দর হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চান। সবকিছু মিলিয়ে তার সঙ্গে আমার মিলে যাওয়ায় তাকে নিয়ে কাজটি করেছি।

আর সিনেমাটির অন্য চরিত্রগুলোও অডিশন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বামী চরিত্রটি, মায়ের চরিত্রে মিতা চৌধুরী, ময়নার ভূমিকায় রিকিতা নন্দিনী শিমু। মোট সাতটি চরিত্র দেখা যাবে এই সিনেমায়। এখানে প্রতিটি চরিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমাটি দেখলে যে-কেউ বুঝতে পারবেন এখানে তিনটি ‘নারী চরিত্র’ই প্রধান। বাকি চরিত্রগুলোর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই চরিত্রগুলোর কারণেই। ছবিটি দেখার পরে নারীদেরই দর্শক বেশি মনে রাখবেন।

** : প্রথম সিনেমায় রুবাইয়াতকে নির্মাতা হিসেবে দর্শক যেভাবে পেয়েছে, এবার কী তার থেকে ভিন্ন ধরনের একজন নির্মাতার কাজ পর্দায় দেখা যাবে?
রুবাইয়াত : আমার সিগনেচার কী, সেটা কাজ করতে করতে একসময় গিয়ে তৈরি হবে। সেটা সময়সাপেক্ষ। এটা দ্বিতীয় সিনেমা। আমার পরিকল্পনা আমার প্রতিটি সিনেমা যেন একটা অন্যটার থেকে আলাদা হয়। আমার সিনেমা দেখে বেশিরভাগ দর্শক না বুঝে এটা একই নির্মাতার ছবি। একইভাবে আমি কাজ করতে চাই না। আমার পরের ছবিটি হয়তো এবারের চেয়ে আলাদা হবে। আবার কখনো হয়তো এনিমেশন সিনেমাও বানাব। আলাদা আলাদাভাবে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে চাই।

** : মেহেরজান থেকে আন্ডার কনস্ট্রাকশনের তফাতটা আসলে কী?
রুবাইয়াত : প্রথম ছবিটি তৈরি করেছিলাম থার্টি ফাইভ মিলিমিটারে। এবারেরটা ডিজিট্যাল ফরমেটে হয়েছে। সেটাও একটা সুবিধা ছিল। ওটাতে লাইট, শ্যাডো, থিয়েট্রিক্যাল কাজ অনেক বেশি ছিল। কালারস, স্ক্রিন অনেক ভাইব্রেনড ছিল। এখানে কালারটাকে টোন ডাউন করেছি। মেহেরজানে কোনো হ্যান্ডহেল্ড ছিল না। এখানে বেশিরভাগ শটই হাতের ওপরে নেওয়া। মেহেরজানে অনেক বেশি চরিত্রনির্ভর, একটি এপিক গল্পের মতো। এখানে মাত্র সাতটি চরিত্র। আমি আমার কাজে বৈচিত্র্য রাখতে চাই। নিজেকে আবিষ্কার করার জন্যই আমি এটি করতে চাই।

আর একটা বিষয় হলো- ইনফ্লুয়েন্সেরও একটা বিষয় থাকে। যখন আন্ডার কনস্ট্রাকশন বানাচ্ছি, তখন আমি প্রভাবিত হচ্ছি। নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন উৎসবে প্রচুর ছবি দেখেছি। সেসবের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য, ইসরায়েলের এমনকি এখানকারও কিছু ছবি আমি দেখি, যেগুলো খুবই রিয়েলিস্টিক ঘরনার। তা ছাড়া গল্প একটা স্টাইলকে ডিমান্ড করে। আমার মনে হয়েছে, এই গল্পটিও রিয়েলিস্টিক কিছুকে ডিমান্ড করেছে। আবার শুধু যে বৈপরীত্ব রয়েছে তা কিন্তু নয়ে। কিছু মিলও রয়েছে দুটি সিনেমায়। যেমন- গল্পে আমি নারী চরিত্রকে প্রাধান্য দিই। আমি শিল্পীদের কাছে যে ধরনের অভিনয় বের করে আনতে চেয়েছি, সেসবে কিন্তু দারুণ মিল খুঁজে পাবেন।

** : সিনেমা তৈরিই হয় দর্শকদের জন্য। সেদিক থেকে এই সিনেমাটি কী দর্শক টানতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?
রুবাইয়াত : এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আমি বলতে চাই- এখন জিরো ডিগ্রি চলছে। তার আগে পিঁপড়াবিদ্যা, মেঘমল্লার কিন্তু দর্শক দেখেছেন। এই ছবিগুলো যেহেতু হলে চলেছে, সুতরাং তা আমার সিনেমার জন্য খুবই ইতিবাচক। আমার সিনেমাটি এমন সময় হলে আসছে, যখন কিনা দর্শক এ ধরনের বাস্তবতানির্ভর সিনেমা দেখার জন্য তৈরি হয়েই আছেন। তা ছাড়া এই সিনেমাগুলোর নারী দর্শকের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমি চাই, আমার এবারের সিনেমাটি তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি সারা দেশের নারীরাও দেখুক।

আন্ডার কনস্ট্রাকশন বর্তমানের একজন নারীর গল্প এটি। যাকে সবাই নিরুৎসাহিত করলেও সে তার জায়গা থেকে নিজের কাজটি করে যাচ্ছে। এটাই আমার এ সিনেমার মূল বিষয়বস্তু। এরই মধ্যে সিনেমাটির সেন্সর হয়েছে। শিগগিরই সারা দেশে এটি মুক্তি দেওয়া হবে। আর ভবিষ্যতে দর্শকরাই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা আমার কাজ দেখবেন কি না ।

** : আপনার মতে এই মুহূর্তে আমাদের চলচ্চিত্রের মূল সংকটটি কী?
রুবাইয়াত : সবচেয়ে বড় সমস্যা আমাদের দেশের সিনেমা হলগুলোর দৈন্য দশা। ঢাকা শহরের হাতে-গোনা কিছু হল ছাড়া অন্য হলগুলোতে গিয়ে দেখা যায়- প্রজেকশন, সাউন্ড, বসার সিটের অবস্থা খুব খারাপ। এবং টিকিটের দামও খুব কম। আমাদের দেশে মেধাবীদের অভাব নেই। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তিনটি মৌলিক ও ভালো সিনেমা রিলিজ হয়েছে। এ সবই আশাব্যঞ্জক। প্রজেকশন ও ডিস্ট্রিবিউশন ডেভলভ করতে পারলেই আমাদের সিনেমার বাজার ফিরে আসবে। সূত্র: রাইজিংবিডি

প্রতিক্ষণ/এডি/নিলয়।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G