সিপাহী পদে নারী-পুরুষ নেবে বিজিবি

প্রকাশঃ মার্চ ১১, ২০১৭ সময়ঃ ১২:২১ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২২ পূর্বাহ্ণ

আবেদনের যোগ্যতা:
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, সিপাহী পদে আবেদন করতে হলে পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩ এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১০-০৯-১৭ তারিখে ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা লাগবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। আর পুরুষ প্রার্থীদের ওজন হতে হবে ৪৯.৮৯৫ কেজি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি। অন্যদিকে মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ওজন ৪৭.১৭৩ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি থাকতে হবে। উভয় প্রার্থীদের দৃষ্টিশক্তি লাগবে ৬/৬। তবে উপজাতীয়দের ক্ষেত্রে উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা আছে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
এই পদে নিবন্ধন করতে হবে এসএমএসের মাধ্যমে। টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মাধ্যমে মেসেজ অপশনে গিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। এরপর প্রার্থী পিন নম্বরসংবলিত একটি এসএমএস পাবেন। পিন নম্বরটি পাওয়ার পর প্রার্থীকে তাঁর পিন নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে আরেকটি এসএমএস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদন ফি বাবদ ১৫০ টাকা কর্তন করা হবে বিধায় দ্বিতীয়বার মেসেজ প্রেরণের পূর্বে টেলিটকের প্রি-প্রেইড মোবাইলের ব্যালেন্স এসএমএস প্রেরণ চার্জসহ ১৬০ টাকা থাকতে হবে। এরপর প্রার্থীকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএস প্রার্থীর টেলিটক ও নিজস্ব মোবাইলে পাঠানো হবে। আবেদন যাচাই বাছাইয়ের পর প্রার্থীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির তারিখ ও স্থান জানানো হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ভর্তির সময় প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের মূল/প্রভিশনাল সনদ, সংশ্লিষ্ট স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ কর্তৃক এইচএসসি বা সমমান এবং এসএসসি বা সমমান পাসের প্রশংসাপত্র (যাতে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মতারিখ উল্লেখ থাকবে), অভিভাবকের অনুমতিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদ, চারিত্রিক সনদ, সদ্য তোলা ১০ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সত্যায়িত ব্যতীত) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপিসহ সত্যায়িত ছায়াকপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া:
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজিবির বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সেক্টরগুলোর সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে প্রথমে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখান থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা সাধারণত বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর মোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এখানে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। এরপর তাদের আবার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণ:
নির্বাচিত প্রার্থীদের বর্ডার গার্ড ট্রেইনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল (বিজিটিসি) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ছয় মাসের প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে। এই প্রশিক্ষণে যাঁরা ভালো করতে পারবেন, তাঁদেরকে সীমান্তে বা বিভিন্ন জেলার বিজিবির সেক্টরগুলোতে নিয়োগ করা হবে।
বেতন-ভাতা ও পদোন্নতি:
চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিপাহীর জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা স্কেলে ২১ হাজার ৮০০ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়া চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বাসস্থান, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন, সন্তানদের পড়াশোনা খরচ, সীমান্ত ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। সূত্রমতে, একজন সিপাহি তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে ল্যান্স নায়েক, নায়েক, হাবিলদার, নায়েব সুবেদার, সুবেদার এমনকি বিভাগীয় অফিসার পর্যন্ত হতে পারবেন।
ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন www.bgb.gov.bd এই ঠিকানায়।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G