আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে এমএলএম কোম্পানি

প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ৬:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক :

MLM companyসরকারের লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে কয়েকটি বহুস্তর বিপণন কোম্পানি (এমএলএম)।

লাইসেন্স না পেয়ে কোম্পানিগুলো আদালতে রিট আবেদন করেছিল।  

লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ায় আদালত থেকে সর্বশেষ স্থগিতাদেশ নিয়েছে চারটি এমএলএম কোম্পানি। এগুলো হলো এমএক্সএন মডার্ন হারবাল ফুড, ওয়াল্ড মিশন ২১, স্বাধীন অনলাইন পাবলিক লিমিটেড এবং রিচ বিজনেস সিস্টেম।

এই চার কোম্পানি ২০১৪ সালের মার্চে এমএলএম ব্যবসা করার লাইসেন্স পায় যৌথ মূলm2ধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (রেজসকো) থেকে। কিন্তু চলতি বছর মার্চে রেজসকো আর তা আর নবায়ন করেনি।  

এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন ওয়ার্ল্ড মিশন ২১ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান চৌধুরী। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের বেঞ্চে সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি এ রিট আবেদন করেন। 

mision 1রিটে বাণিজ্যসচিব, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এন্ড ফার্মের রেজিস্ট্রার ও সহকারি রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।   

shadhinরিটে চলতি বছরের ৪ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাইসেন্স নবায়নে আপত্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।  বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

modernবাদীর পক্ষে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আব্দুস সালাম মামুন।

ওয়াল্ড মিশন ২১ এবং অন্যান্য কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং মন্ত্রণালয় সে চিঠিতে লাইসেন্স না দেওয়ার কথা কোম্পানিগুলো কে জানায়, আদালত ওই চিঠির কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।  

এই সময়সীমা শেষ হলে কয়েকটি কোম্পানি আদালত থেকে আরো তিন মাস সময় পেয়েছে বলেও জানা গেছে।

richএ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সরকার থেকে লাইসেন্স পাওয়া কোনো এমএলএম কোম্পানি বর্তমানে নেই। তবে অনেকে আদালতে গিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের স্থগিতাদেশ পেয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।’ 

এসব বিষয়ে কথা হয় কোম্পানিসমুহে কর্মরত কয়েকজন ক্রেতা-পরিবেশকের সাথে। তারা জানান, ‘সরকার যদি লাইসেন্স নবায়ন না করে কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দেয়, তবে প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই সেক্টরের সাথে জড়িত পঞ্চাশ লাখ লোক বেকার হয়ে যাবে। এতে করে দেশে বেকারত্ব আরো বাড়বে বলেও দাবি করেন তারা।’

এদিকে এমএলএম সংশিল্ষ্টদের মতে, ‘লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলো বন্ধ হলে ব্যাঙের ছাতার মতো  অবৈধ মানিগেম কোম্পানি গড়ে উঠবে। এর ফলে মানুষ যেমন সর্বশান্ত হবে, তেমনি দেশের টাকাও বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া  এমএলএম এর নাম ভাঙিয়ে ইউনিপেটুইউর মতো   প্রতারক কোম্পানি দ্বারা মানুষ যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার প্রণীত এমএলএম নীতিমালার আলোকে লাইসেন্স দিয়ে সরকারী তত্ত্বাবধানেই কোম্পানিগুলো চালু রাখারও দাবি জানান তারা।

প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G