চবি ছাত্রলীগ সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২২, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

রকিব কামাল

cuচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু’র বিরুদ্ধে জোড়া খুন, নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকা, সন্ত্রাস, সহিংসতা এবং পারিবারিকভাবে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সভাপতির কর্মকান্ড নিয়ে সংবাদও প্রচারিত হয়। কিন্তু এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং একটি মহলের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন এ নেতা। বুধবার বিকেল ৪ টায় নগরীর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি অভিযোগ করেন, একটি পক্ষ তার ও তার পরিবারের ভাবর্মূতি নষ্ট করার জন্য এসব করছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে মুচলেখা দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষনা দেন।

তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবরের সঙ্গে আমাদের বড় ভাই লিমনের গোলাগুলি হয়েছে। সাংগঠনিক কাজ শেষ করে আমি বড় ভাই বিপদে পড়েছেন শুনে দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমকে ঘটনার দু’ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার করে।

আলমগীর টিপু’র বড় ভাই ২০০০ সালে নগরীর বহুল আলোচিত ৮ ছাত্রলীগ হত্যা মামলার সাথে এবং তার বাবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। টিপু বলেন, আমার ভাই যদি এইট মার্ডারের সাথে জড়িত থাকত তাহলে তার নাম অবশ্যই এজাহার কিংবা চার্জশীটে থাকত। আর আমার পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।

নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ। যার জন্য ৬ অক্টোবর তাকে ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে এক মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছিল। এই বিষয়ে তিনি বলেন, এসবের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু জুনিয়রদের সাথে আমাকেও বহিস্কার করা হয়।

এছাড়া ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫৬ তম সিন্ডিকেটে যৌন হয়রানির দায়ে বহিষ্কার করা হয় আলমগীর টিপুসহ চার ছাত্রলীগ কর্মীকে। তবে প্রত্যেকটি অভিযোগই তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অস্বীকার করেছেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম. ফজলে রাব্বি সুজন। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসুসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য শাহেদ সরোয়ার।

প্রতিক্ষণ/এডি/সজল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G