আমলকীর উপকারিতা
প্রতিক্ষন ডেস্ক
দেশীয় ফলের মধ্যে আমলকী একটি অতি পরিচিত নাম। ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ এই ফল যেমন দামে সস্তা ও সহজলভ্য, তেমনি এর নানাবিধ উপকারিতা। বলা হয়ে থাকে, প্রতিদিন যদি একটি করে আমলকী খাওয়া যায়, তবে আর রোগ ব্যাধি আপনাকে ছুঁতে পারবে না। আমলকীর বহুবিধ গুণাগুণের কয়েকটি এখানে বলা হল।
* প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় নিয়মিত ২/১টি করে আমলকী খেলে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
* আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান।
* আমলকী খেলে শুধু চুলের গোড়াই শক্ত হয় না, চুল দ্রুত বড় হতেও তা সাহায্য করে।
* এছাড়া খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকী বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
* নিয়মিত ২/১টি করে আমলকী খেলে পেটের আলসার দূর হয়।
* আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পাইলস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
* অন্ত্রের রোগ নিরাময় ও ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি সহায়ক।
* খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়।
* প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ নিরাময় হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও মুখের চামড়ায় কোনো দাগ পড়ে না।
* চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে আমলকী খুবই উপকারী। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও আমলকী বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
* আমলকী হৃদপিণ্ডের পেশি শক্তিশালী করে ও হূদযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
* এছাড়া প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ রোধে তা সহায়তা করে ও দাঁতকে শক্তিশালী করে।
* আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
* বমি বন্ধে সাহায্য করে।
* দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দির জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।
* শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যৰমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
* শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
* এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এসিডিটির সমস্যা দূর হবে।
* আমলকীতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন।
* খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।
* আমলকী মাঝারি আকারে টুকরো করে নিয়ে ফুটন্ত পানির মধ্যে দিন। নরম হলে নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুঁচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভাল থাকবে।
সতর্কতা-
কিডনি রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমলকী খাওয়া উচিত।
প্রতিক্ষণ/এডি/এএস