রাবির শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছনায় পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

প্রথম প্রকাশঃ মে ২৫, ২০১৭ সময়ঃ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

তানভীর অনিক, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের প্রহরীর দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হলেন এক শিক্ষার্থী। এতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামকে হলের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম অভি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মতিহার হলের প্রহরীর দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে রফিকুলের গেস্ট আসার কথা ছিল। এজন্য রফিকুল তার বোনকে নিয়ে হল গেটে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় প্রহরীর দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল সিগারেট জ্বালায়। শফিকুলকে সিগারেট জ্বালাতে নিষেধ করলে পুলিশ কনস্টেবল ক্ষেপে যায় ও রফিকুলকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। সেই সঙ্গে রফিকুলের বুকে বুট তুলে দেওয়ারও হুমকি দেয় শফিকুল। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে প্রক্টর দফতে স্বীকার করেন।

প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রক্টর দপ্তরে বিষয়টি সমাধানে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী অভি ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শফিকুলকে নিয়ে বসেন প্রক্টর। এসময় শফিকুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চায়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসময় প্রক্টর দফতরে উপস্থিত ছিলেন মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমির জাফর, মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন প্রমুখ।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মজিবুল হক খান আজাদ বলেন, ‘ঐ ঘটনার পর দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। পুলিশ সদস্যের বিষয়ে পরবর্তীতে মহানগর পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) আমির জাফর বলেন, ‘সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। শফিকুল ঐ শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে। শফিকুলের চাকরি যেন না যায় সেজন্য ঐ শিক্ষার্থী অনুরোধও করেছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা তাকে হলের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। পরবর্তীতে তার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।’

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G