অপহরণের ১৮ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশঃ আগস্ট ১, ২০১৭ সময়ঃ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর থেকে অপহরণের ১৮ দিন পর হাজী নজরুল ইসলাম (৫২) নামে এক ব্যবসায়ীর গলিত মরদেহ মণিরামপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত নজরুল অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিরপাশা গ্রামের মৃত গফুর শেখের ছেলে।

অপহরণের ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধারে কোনো তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

নিহতের ভাই আজিজুর রহমান জানান, মণিরামপুর উপজেলার লাউকুন্ডা গ্রামের মান্না মোল্যার ছেলে মোস্তাক তাদের বাড়িতে টাইলস্’র কাজ করতো। এরই সূত্র ধরে গত ১৪ জুলাই বেড়ানোর কথা বলে তার ভাইকে কৌশলে টাইলস্ মিস্ত্রী মোস্তাক অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার ভাইয়ের কাছে ২৬ হাজার টাকা ও একটি বাজাজ মোটরসাইকেল ছিল।

এরপর ২৭ জুলাই নিহতের ছেলে রিজভী পারভেজ বাদী হয়ে মোস্তাক ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম, গাবুখালি গ্রামের জিন্নাহ মোল্যার ছেলে তসির ও নাসির, আতিয়ার রহমানের ছেলে আলী হাফেজ ও সিদ্দীক আলীর ছেলে ইসরাইল হোসেনের নামে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দেয় মোস্তাকসহ আসামিরা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশীষ সরকার নজরুল অপহরণের ঘটনায় কোনো তৎপরতা দেখাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আজিজুর রহমান আরও জানান, গত ২৯ জুলাই ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা জেলার মুকন্দপুর গ্রাম থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপহরণকারী মোস্তাকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমকে আটক করে। এরপর আটক আঞ্জুয়ারা নিহত নজরুল অপহরণের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ব্যবসায়ী নজরুল যে দিন অপহরণ হন, সেদিন সন্ধ্যায় ওই খালের পাশে ছাগলের খাওয়ানোর জন্য কলার পাতা কাটতে গিয়ে মোস্তাকসহ কয়েকজনকে এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন লাউকুন্ডা গ্রামের মোমিন মোল্যার ছেলে আব্দুল হামিদ। বিষয়টি গ্রামের কয়েকজনকে বললেও কেউ আমলে নেয়নি।

এরপর ব্যবসায়ী নজরুল অপহরণের ঘটনার সঙ্গে মোস্তাকের জড়িত থাকার বিষয়টি পরিষ্কার হলে আব্দুল হামিদের কথার সূত্র ধরে নিহতের পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় সোমবার গাবুখালি শ্মশান সংলগ্ন বালিয়ার খালে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় ওই খালে ব্যবসায়ী নজরুলের গলিত মরদেহ পেয়ে খবর দিলে মণিরামপুর থানা পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মণিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এনামুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G