ইয়াবার কারণে মিয়ানমারে বছরে পাচার হয় ৫০ কোটি টাকা: ডিআইজি ফারুক

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০ সময়ঃ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

ইয়াবার বিনিময়ে মিয়ানমারে প্রতিবছর ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, মিয়ানমার ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দিয়েছে। আর সেই মিয়ানমার থেকে এদেশের ইয়াবা কারবারীরা ইয়াবা এনে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এটি নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার মতো। মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্সে রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। এই আত্মসমর্পণ তারই একটি অংশ।

ডিআইজি আরও বলেন, ৯০-এর দশকের শেষদিকে জঙ্গিবাদ চরমভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা পেয়েছি। ইয়াবাও বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। দোষ স্বীকার করে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই। আর যারা এখনও বাইরে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার ঠিকানা হবে কারাগার। একইভাবে নিরীহ কাউকে মাদক কারবারি সাজানোর চেষ্টা করলে কর্মকর্তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোরভাবে হাঁটছি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা ও মাওলানা মুফতি কিফায়েত উল্লাহ। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ডিআইজির হাত থেকে ফুল নিয়ে এক এক করে ২১ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ১০টি অস্ত্র ও ২১ হাজার ইয়াবা। এরা সবাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি ও হুন্ডি ব্যবসায়ী।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G