তারাবির সালাতের ফজিলত

প্রকাশঃ জুন ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

taraviতারাবি শব্দের অর্থ বিশ্রাম। তাই এ নামাজ বিশ্রামের সঙ্গে পড়া হয়। তারাবি পড়া মুস্তাহাব। এ নামাজকে হাদিসের ভাষায় কেয়াম বলা হয়। হুজুর (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। আর আমি এ মাসের কেয়ামকে (তারাবি) সুন্নত সাব্যস্ত করলাম।

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহপাক এ মাসে রোজা পালনকে ফরজ এবং রাতের কেয়ামকে নফল সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তায়ালা চান, বান্দা এ একটি মাস পুরোটিই রাত-দিন আল্লাহকে পেতে মশগুল থাকুক। তাই দিনে রোজা দিয়েছেন। আর রাতে আল্লাহর সামনে কাতারবন্দি হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে বলেছেন।

আর তার ফলস্বরূপ ঘোষণা হচ্ছে, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমান নিয়ে এবং সওয়াবের আশায় রমজানে ইবাদতের জন্য দাঁড়ায় (অর্থাৎ তারাবি আদায় করে, কোরআন পাঠ করে, জিকির-আজকার করে) তারও অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। এখানে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে তারাবি বোঝানো হয়েছে আর এর পরিবর্তে অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

কতটুকুই বা কষ্ট হবে। এতটুকু কষ্টের কারণে কত বড় ফল আমরা পাচ্ছি। তাই এ ইবাদতকে গনিমত মনে করে অবশ্যই সবাই তা পালন করব। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, রমজানের শুরুতে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ভিড় থাকে প্রচুর। অথচ  মাঝামাঝি সময়ে সে জোয়ারে ভাটা পড়ে। তা কিন্তু মোটেই সমীচীন নয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G