পবিত্র রমজানের ফজিলত

প্রকাশঃ জুন ২২, ২০১৫ সময়ঃ ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ramadanমাহে রমজান প্রতি বছরই আমাদের মাঝে হাজির হয়। বছরের এগার মাস মানুষ পার্থিব কাজে ডুবে থাকে। আর রমজান মাসে শরীরের খাবার কমিয়ে রূহানী খাবারের পরিমাণ বাড়ানো হয়। শরীরের শক্তির তেজস্বতা কমিয়ে রূহানী শক্তিকে দ্রুতগামী করার সাধনায় লিপ্ত হয় মুমিনরা। এভাবে এক পর্যায়ে এসে উভয় শক্তির মাঝে সমান্তরাল সৃষ্টি হয়, যা মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় নিয়ামত।

আল-কোরআনে মহান রাব্বুল আলামীন সিয়াম সাধনাকে পরহেজগারী অর্জনের জন্য ফরজ বিধান বলে ঘোষণা করেছেন। হাদীসে এরশাদ করা হয়েছে, পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের জন্যও একই বিধান ছিল। অর্থাৎ রোজা পালন শুধু কোরআনের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়নি। তার আগের আসমানি কিতাবেও সিয়াম সাধনা বা রোজার বিধান ছিল।

আত্নশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এ ইবাদত শুধু ইসলামে পরিপালনীয় নয়, আগের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এ সাধনা বিদ্যমান ছিল। পবিত্র ইসলামের পাঁচটি ফরজের মধ্যে সিয়াম সাধনা বা রোজা পালন অন্যতম। মাহে রমজানেই মানুষের জন্য ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য নির্দেশকারী হিসেবে আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়। পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার-১৮৫ আয়াতে মাহে রমজানে রোজা পালনের বিষয়ে বলা হয়েছে, কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে সে এ মাসের রোজা পালন করবে।

রোজা পালনের আবশ্যিক এ বিধান ‘অসুস্থ’ আর মুসাফিরদের জন্য শিথিল করে বলা হয়েছে যারা অসুস্থতা এবং অন্য কারণে রোজা রাখতে পারবে না তাদের অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর যাদের জন্য তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হবে, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্যদান করবে। সিয়াম সাধনার মাহে রমজানে শুধু রোজা রাখলেই চলবে না, সব ধরনের অন্যায় এবং হারাম কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

পানাহার বর্জন করেও কেউ মিথ্যা বললে, অন্যের মনে কষ্ট দিলে, সুদ ঘুষের মতো পাপ কাজে লিপ্ত থাকলে তার সিয়াম সাধনা হবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় কথা ও অন্যায় কাজ ছাড়ল না তার খানাপিনা ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বোখারী)।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G