পৃথিবীতে যে ৮টি ওষুধ হুমকিস্বরূপ!

প্রকাশঃ মার্চ ২, ২০১৭ সময়ঃ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

vaccine

আপনি জেনে আঁতকে উঠবেন যে, পশ্চিমা বিশ্বের গবেষণাগারে যেসব ওষুধ তৈরি করা হয় তার বেশিরভাগই পরীক্ষামূলক। অনেকগুলোতে এমনসব ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় যা মানুষের জন্য কোনভাবেই উপকারী নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওষুধটি মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয় কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য, ঠিক যেমনটা করা হয় গিনিপিগের উপর।

কিছু কিছু ওষুধ বাজারজাত করা, চিকিৎসক কর্তৃক পরামর্শ দেয়া, রোগীর উপর প্রয়োগ করার আগে কখনোই এগুলোর ভালমন্দ দিক বা প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উৎপাদনকারীরা পর্যন্ত ওয়াকিবহাল থাকে না। বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যেখানে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে, মানুষজন হচ্ছে ভুক্তভোগী।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, এমনটা হবার কারণ কি? আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি বিজ্ঞানীদের যারা জেলে ছিলেন একসময় তাদের বের করে আনা হয়। আর কাজে লাগানো হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রতারণামূলক ও লাভজনক এলোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবসায়। জার্মানিতে যে হলোকাস্ট বা গণহত্যা শুরু হয়েছিল, শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনের জন্য বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো সে ধারা অব্যাহত রাখে, কিছুটা নিভৃতে। তবে এবার লোকচক্ষুর অন্তরালে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বায়ের, বিএএসএফ এবং হয়েচেস্টের মতো বড় বড় ওষুধ কোম্পানিতে শীর্ষপদে নিয়োগ দেয়। গণহত্যার দায়ে ৫ বছর জেল খাটার পর ফ্রিটজ টার মির নামক ব্যক্তিকে বায়ের কোম্পানির পরিদর্শক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বায়ের কোম্পানি অ্যাসপিরিন এবং শিশুদের ওষুধ তৈরি করে।

কেমোথেরাপিকে বলা হয়, চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতারণা। এখানে জিকলন-বি গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যেটি ইহুদি নিধনের জন্য গাস চেম্বারগুলোতে ব্যবহৃত হতো। আর এর পেছনে রয়েছে কার্ল ওয়ারেস্টার নামক ব্যক্তির হাত। কার্ট ব্লুম যে নৃশংস পরীক্ষার নামে অসংখ্য ইহুদিকে হত্যা করেছে, খোদ মার্কিন সেনাবাহিনীর রাসায়নিক বিভাগে সে চাকরি পায়।

অল্প কথায় বলতে গেলে, বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যালগুলোর ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণার ফাঁদ ৬৫ বছর আগেই নির্মাণ করা হয়। হলোকাস্টের সময় যেসব উন্মাদ বিজ্ঞানী  নির্দ্বিধায় গণহত্যায় জড়িত হয়েছিল, তারাই এই ফাঁদ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয় মানবতার ধ্বজাধারী মার্কিন প্রশাসন। আর এই সব পশ্চিমা ওষুধ কোম্পানিগুলো মুখ্য উদ্দেশ্য নিহিত থাকে মানুষকে রোগবালাইয়ের দুষ্টচক্রে ফেলে মুনাফা অর্জন করার মধ্যে।

আসুন জেনে নেই, বিশ্বের ভয়ংকর ৮টি ওষুধ সম্পর্কে, যেগুলো তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে মানবতাকে-

১। এসএসআরআই

সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষামূলক, এটি নিরাপদ কিনা তা কখনোই প্রকাশ করা হয় না। এমনকি এর কার্যকারিতা কতটুকু তা নিয়েও সন্দেহ আছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন সেরেনটোনিনের নিঃসরণ পুরোপুরিই বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যক্তি আত্মহত্যা করতে প্রবৃত্ত হতে পারে। এমনকি অন্য মানুষকে হত্যা করার আকাঙ্ক্ষাও জাগ্রত হয় তার মস্তিষ্কে।

২। এমএমআর ভ্যাক্সিন

এটা সেবনে রোগী মানসিক প্রতিবন্ধী পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। স্নায়ুবিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

৩। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন

ফরমালডিহাইড, এমএসজি এবং মার্কারির মতো ভয়ংকর উপাদান নিহিত আছে এতে। ফলে গর্ভপাত হতে পারে।

৪। এন্টিবায়োটিক

সাময়িকভাবে উপকার দেয়। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ভাইরাসঘটিত রগে এগুলো সেবন করলে হিতে বিপরীত হয়।

৫। এইচপিভি ভ্যাক্সিন

কিশোর কিশোরীদের মানসিক অভিঘাত দেয়, এমনকি কোমায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। হাজার হাজার পরিবার এটির বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিয়েছে।

৬। কেমোথেরাপি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়, কিছুদিন পড়ে আবারো ক্যান্সার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

৭। রোটাটেক

মারাত্মকসব বিষাক্ত উপাদানে ভরপুর। শূকরের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকরী, মানুষের বেলায় বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়।

৮। পোলিও ভ্যাক্সিন

এর মাধ্যমে শিশুবয়সেই ভবিষ্যতে ক্যান্সার আক্রান্ত হবার জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। ভবিষ্যৎ মুনাফা অর্জনই এটার মূল লক্ষ্য।

 

অতএব, সাধু সাবধান। আপনার এবং আপনার পরিবারের চিকিৎসার নামে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো উল্টো আপনার ক্ষতি করছে না তো?

প্রতিক্ষণ/এডি/নাসু

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G