বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান

প্রকাশঃ জুন ১৮, ২০১৫ সময়ঃ ২:৩১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৩১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

ramdan“রমজ” শব্দ থেকে এসেছে “রমজান।” “রমজ”-এর অর্থ জ্বালিয়ে দেয়া, দগ্ধ করা। রোজা মনের কলুষ-কালিমা পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়ে মনকে নির্মল ও পবিত্র করে।পাপরাশিকে দগ্ধ করে মানুষকে করে তোলে পুণ্যবান।কাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আর এ মাস নিঃসন্দেহে অন্য মাসসমূহ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।কারন এ মাসে কোরআন নাযেল হয়েছে।

হাদীস শরীফ থেকে আমরা জানাতে পারি যে,শুধুমাত্র কোরআন মজিদই এ পবিত্র রমজান মাসে নাযেল হয়নি, অন্য বহু ঐশীবাণীও এমাসেই নাযেল হয়েছে।

কোরআন শরীফে সূরা বাকারাতে ১৮৩নং আয়াতে বলা হচ্ছে : হে ঈমানদারগণ!রোজা ফরজ করা হয়েছে তোমাদের ওপর,যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা সংযমী, মোত্তাকী ও পরহেজগার হতে পার।

দ্বীন ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে রমজানের রোজা। “রোজা” একটি ফারসী শব্দ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ও সংযম পালন হচ্ছে “রোজা” বা “সওম”।রোজা হচ্ছে সংযমের সাধনা। সকল কু-প্রবৃত্তি দমনের নিমিত্তে কঠোর সংগ্রাম।

পবিত্র রমজান তিন ভাগে বিভক্ত : রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত। প্রথম দশদিন অসীম রহমত বর্ষিত হয়। দ্বিতীয় দশদিন রোজাদার ক্ষমা লাভ করে। অন্যায় কুকর্ম, কুচিন্তা ও চারিত্রিক নোংরামির জন্য ক্ষমা লাভের সুযোগ পায়। শেষ দশদিন পাওয়া যায় মুক্তি।

দোযখের শাস্তি থেকে মুক্তি,সকল প্রকার পাপ থেকে মুক্তি। আর এই মুক্তির জন্যই এতেকাফের সাধনা।হাদিস শরীফে বলা আছে, সিরকা যেমন মধুকে নষ্ট করে, মানুষের মন্দ স্বভাবও তেমনি তার এবাদতকে নষ্ট করে। রোজা নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।

হাদীস শরীফ থেকে জানা যায়, কা’ব আল-আহ্বার (রা)-কে হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) প্রশ্ন করেন : “তাক্বওয়া কি?”উত্তরে কা’ব (রা.) জিজ্ঞাসা করেন : “আপনি কি কখনও কণ্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন? তখন আপনি কি পন্থা অবলম্বন করেন?” হযরত ওমর (রা) বলেন, “আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে চলেছি।” কা’ব (রা.) বলেন : “ইহাই তাক্বওয়া।

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে : যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও অন্যায় কাজকর্ম পরিত্যাগ করেনা, তার শুধু খানাপিনা পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।

রমজান মাসের সিয়াম সাধনার ফযিলত যে কতো বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় একটি কুদসী হাদীস থেকে। আল্লাহতায়ালা বলেন : মানুষ যত প্রকার নেকী বা নেক কাজ করে আমি তার সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণে বৃদ্ধি করে দিই। কিন্তু রোজার সওয়াব একইভাবে সীমাবদ্ধ বা সীমিত নয়। রোজার সওয়াব ও পুরস্কার স্বয়ং আমি প্রদান করবো।

প্রতিক্ষণ/এডি/জুয়েল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G